রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ‘চোখ ওঠা’ বা কনজাংকটিভাইটিস বা চোখের প্রদাহ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এটি আগামী দুই থেকে তিন মাস স্থায়ী হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা।
এ প্রাদুর্ভাবের ফলে সিরাজগঞ্জে চক্ষু হাসপাতালের অস্ত্রোপচার কক্ষ বন্ধ রাখা হয়েছে। সতর্কতায় লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া সিলেটেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে এ রোগ।
এদিকে, চোখ ওঠা রোগীদের বিষয়ে জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। নির্দেশনায় চোখ ওঠার ৭ দিনের মধ্যে যাত্রীদের বিদেশ ভ্রমণ না করতে অনুরোধ জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. জাফর খালেদ বলেন, ভাইরাসটি করোনাভাইরাসের মতোই ছড়িয়ে পড়ছে। প্রতিদিনই আমাদের কাছে ‘চোখ ওঠা’ রোগ নিয়ে লোকজন আসছেন। ছোঁয়াচে রোগটিতে শিশুরা আক্রান্ত হলে সুস্থ হতে ৩-৪ দিন এবং বড়দের ক্ষেত্রে ৭-১০ দিন সময় লাগছে।
তিনি আরও বলেন, রোগটি হওয়ার আগে-পরে নানা সচেতনতা অবলম্বন করতে হয়। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তাতে গ্রাহ্য করে না। সংক্রমিত হলে আইসোলেশনে (আলাদা) থাকাটা জরুরি। ঘুরে বেড়ালে নিজের যেমন ক্ষতি, তেমনি অন্যেরও সংক্রমিত হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
সারাদেশে চোখ ওঠা রোগের প্রাদুর্ভাবের কারণে এই রোগীদের ব্যাপারে জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। সেখানে বলা হয়েছে, চোখ ওঠার ৭ দিনের মধ্যে বিদেশ ভ্রমণ এড়ানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে।