দেশে পাঁচ থেকে বারো বছর বয়সি শিশুদের করোনাভাইরাসের টিকাদান শুরু হবে জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে।
এমন তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বুধবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, শিশুদের জন্য যে টিকা প্রয়োজন, তা জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, জুলাই মাসের মাঝামাঝি শিশুদের টিকা পেলে ওই মাসের শেষে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু করতে পারব।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এই টিকাদান কার্যক্রম চালাতে যে ধরনের ডকুমেন্টেশন প্রয়োজন, আশা করি তা আমরা এই সময়ের মধ্যে শেষ করতে পারব।
করোনাভাইরাইসের সংক্রমণ ফের বাড়তে থাকায় সরকার ‘কিছুটা চিন্তিত’ বলে জানিয়েছেন জাহিদ মালেক। তবে স্বাস্থ্য বিভাগ এ নিয়ে শঙ্কিত নয়।
মন্ত্রী বলেন, আমরা প্রস্তুত আছি। আমাদের হাসপাতালের উন্নয়ন চলমান আছে। হাসপাতালে এখন তেমন রোগী নাই। রোগী এলে চিকিৎসা দেওয়ার মতো সক্ষমতা ও প্রস্তুতি আছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এবং ন্যাশনাল ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা সোমবার জানিয়েছিলেন,১২ বছরের কমবয়সীদের ফাইজারের টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন তারা।
টিকা নেওয়ার জন্য ৫ থেকে ১২ বছর বয়সি এই শিশুদের জন্ম নিবন্ধন সনদের নম্বর দিয়ে সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করতে হবে।
শিশুদের টিকা দেওয়ার উপযোগী করে তৈরি করা পয়েন্ট টু এমএলের সিরিঞ্জ প্রয়োজন, যা এখনও দেশে এসে পৌঁছায়নি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, রোববার পর্যন্ত সারাদেশে ১২ কোটি ৯০ লাখ ১৫ হাজারের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ১১ কোটি লাখ ৯৪ লাখ ২২ হাজারের বেশি মানুষ। এ পর্যন্ত তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে ২ কোটি ৯০ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষকে।