তরমুজ খেতে কে না পছন্দ করেন! লাল টকটকে তরমুজ খেতে কত না ভালো লাগে। এখন তো বাজারে তরমুজের ছড়াছড়ি। আমাদের প্রায় সকলের প্রিয় গ্রীষ্মকালীন এই ফল। রসালো এই ফল শরীর ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি পানিশূন্যতাও রোধ করে। একটি তরমুজের প্রায় ৯১ ভাগই পানি।
এতে ক্যালোরি কম থাকে। আবার প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি হওয়ায় তরমুজ খেলে মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতাও কমে। দৈনিক পরিমিত তরমুজ খেলে শরীরে মিলবে অনেক উপকার।
তরমুজে প্রচুর পরিমাণে লাইকোপেন থাকে। এটি একটি ক্যারোটিনয়েড, যা তরমুজের লাল রঙের জন্য দায়ী। এতে অনেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা শরীরের ক্ষতিকর ফ্রি-র্যাডিক্যাল দূর করে ও কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করে।
এই রসালো ফলে আরও থাকে থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, ভিটামিন বি-৬, ফোলেট, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়াম, জিংক, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়াম, কোলিন ও বিটেইন।
যা খাবেন না তরমুজ খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে! তবে তরমুজ খাওয়ার পর একটি ভুলের কারণে বিপদে পড়তে পারেন আপনি। তরমুজে এমনিতেই প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে। তরমুজ খাওয়ার পর যদি তার উপরে বেশি পানি খেলে পেট ফুলে থাকতে পারে।
আয়ুর্বেদ অনুসারে, তরমুজ খাওয়ার পর পানি পান করলে হজম প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে। এমনকি শরীরে চক্রের ভারসাম্যও বিপর্যস্ত হয়। যেহেতু এটি হজম প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করে, তাই অ্যাসিডিটির মতো সমস্যাও হতে পারে।
যদিও এর পেছনে কোনো সঠিক বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই, তবুও তরমুজ খাওয়ার কিছুক্ষণ পর পর্যন্ত পানি না পান করাই ভালো। আর যাদের পেটের সমস্যা আছে তাদের অবশ্যই তরমুজ খাওয়ার অন্তত ৪০-৪৫ মিনিট পর পানি পান করা উচিত।
তবে আপনি যদি খুব তৃষ্ণার্ত বোধ করেন তাহলে এক বা দুই চুমুক পানি পান করতে পারেন। ভুলেও আবার পুরো এক গ্লাস পানি পান করবেন না। তথ্য সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া