রাজধানীর শাজাহানপুরে এলোপাতাড়ি গুলিতে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সমিয়া আফরান প্রীতি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর মাসুমকে কারাগারে পাঠানো হয়।
সাত দিনের রিমান্ড শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নি.) মোহাম্মদ ইয়াসিন শিকদার আসামিকে আজ আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তি রেকর্ড করার আবেদন করেন। গত ২৮ মার্চ মাসুমের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। এরআগে গত ২৭ মার্চ রাতে বগুড়া জেলা থেকে মাসুমকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ওই হত্যা মামলায় গত ৩ এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণ সিটির ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক, আবু সালেহ শিকদার ওরফে শুটার সালেহ, মো. নাছির উদ্দিন ওরফে কিলার নাছির, মো. মোরশেদুল আলম ওরফে কাইল্লা পলাশ ও আরফান উল্লাহ দামালের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এদিকে মাসুমকে গ্রেপ্তারের পর ঢাকায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে ডিবির পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাহিদুলকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন মাসুম। এ ছাড়া সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এই হত্যায় মাসুমের অংশ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। বগুড়া থেকে মাসুমকে গ্রেপ্তার করা হয়। জাহিদুল হত্যার পরিকল্পনাকারী ব্যক্তিরা ঘটনার পাঁচ দিন আগে ‘শুটার’ মাসুমকে ভাড়া করেন বলে জানিয়েছে ডিবি।
এর আগে গত ২৪ মার্চ রাত ১০টার দিকে রাজধানীর ব্যস্ত সড়ক শাহজাহানপুরের আমতলা মসজিদ এলাকায় জাহিদুল ইসলামকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তিনি এ সময় বাসায় ফিরছিলেন। তাঁর গাড়ি যানজটে পড়ার পর মোটরসাইকেলে করে আসা হেলমেট পরা এক যুবক জাহিদুলকে লক্ষ্য করে গুলি করেন। তাঁর এলোপাতাড়ি গুলিতে রিকশারোহী কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান প্রীতি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।