পিরোজপুরের কাউখালীতে স্বামীর নির্যাতনে গৃহবধূর বিষপানে আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। লাশ হাসপাতালে রেখে স্বামী ও আত্মীয়স্বজন পালিয়ে যায়। রোববার এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, উপজেলার জব্দকাঠী গ্রামের জলিল মাঝির ছেলে অহিদুল মাঝির সঙ্গে পিরোজপুর সদর উপজেলার কলাখালী গ্রামের ইসমাইল ফকিরের মেয়ে সেলিনা বেগমের (৩৫) ৮-৯ বছর পূর্বে বিবাহ হয়। এরই মধ্যে তাদের দুটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। গত ১ সপ্তাহ পর্যন্ত পরিবারে আর্থিক অনটনের কারণে স্বামী অহিদুল মাঝি স্ত্রী সেলিনা বেগমকে নির্যাতন করে।
একপর্যায়ে স্ত্রী সেলিনা বেগম নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে রোববার ভোরে ঘরে থাকা কীটনাশক পান করেন। এ সময় পরিবারের লোকজন ঘরে না থাকায় দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্বামীসহ আত্মীয়স্বজনরা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় কাউখালী হাসপাতালে ভর্তি করেন। ভর্তির ঘণ্টা দুই এর মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেলিনা মারা যান।
ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সুব্রত কর্মকার জানান, এ সময় স্বামী ও আত্মীয়স্বজনরা মীমাংসা করার চেষ্টার করলে তিনি পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ আসার খবর টের পেয়ে স্বামী অহিদুল মাঝিসহ আত্মীয়স্বজনরা লাশ হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর মর্গে প্রেরণ করে।