ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভি’যান চা’লিয়ে এক কেজি ১৬০ গ্রাম সোনাসহ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একজন কর্মচারীকে আট’ক করেছে ঢাকা কাস্টমস হাউজ কাস্টমসের প্রিভেনটিভ টিম। উদ্ধার করা সোনার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা বলে জানিয়েছেন ঢাকা কাস্টমস হাউজের উপ-কমিশনার আব্দুস সাদেক।
আটক ঝন্টু চন্দ্র বর্মণ বাংলাদেশ বিমানে এয়ারক্রাফট টেকনিশিয়ান হেলপার হিসেবে কর্মরত। শুক্রবার (২ এপ্রিল) দুপুরে দুবাই থেকে আসা ফ্লাইট বিজি ৫০৪৬ এ রামেজিংকালে বিমানের ভেতরে থাকা এয়ারক্রাফট টেকনিশিয়ান হেলপার ঝন্টু চন্দ্র বর্মণকে আ’টক করা হয়। চোরাচালানের অভি’যোগে গ্রেফতার বিমানকর্মীকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে এবং তার বি’রু’দ্ধে ফৌজদারী আইনে মামলা হয়েছে।
ঢাকা কাস্টমস হাউজের উপ-কমিশনার আব্দুস সাদেক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা কাস্টম হাউজের কর্মকর্তারা জানতে পারেন, দুবাই থেকে ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইট বিজি ৫০৪৬ এর মাধ্যমে সোনার চো’রাচা’লান ঘটতে পারে।
চো’রাচা’লান প্রতিরোধে কাস্টম হাউজ ঢাকার প্রিভেন্টিভ টিমের কর্মকর্তারা বিমান বন্দরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে নজ’রদা’রি করতে থাকেন। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে দুবাই থেকে আসা ফ্লাইট বিজি ৫০৪৬ এ রামেজিংকালে বিমানের অভ্য’ন্তরে থাকা এয়ারক্রাফট টেকনিশিয়ান হেলপার ঝন্টু চন্দ্র বর্মণের আ’চরণ স’ন্দে’হজ’নক হওয়ায় তাকে জি’জ্ঞাসাবা’দ করা হয়। তিনি তার সঙ্গে সোনা থাকার কথা অস্বীকার করেন।
পরে অধিকতর জি’জ্ঞাসাবা’দে তিনি সিটের হাতলে সোনা থাকার কথা স্বীকার করেন। ঝন্টু বর্মণের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সিট নম্বর ২১ সি এর হা’তলের ভেতর থেকে বিশেষ কায়দায় লুকানো অবস্থায় এক কেজি ১৬০ গ্রাম সোনা উদ্ধার করা হয়। উ’দ্ধার করা সোনার বিষয়ে কা’স্টমস আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান উপ-কমিশনার আব্দুস সাদেক। উদ্ধার করা সোনার বার রাষ্ট্রীয় কো’’ষাগা’রে জমা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।