সাত বছরের ইয়াসিন। এই বয়সে পরিবারের প্রতি টান থাকাটাই স্বা’ভাবিক।
কিন্তু এই টানই কাল হলো তার জন্য। বাবা-মায়ের স’ঙ্গে বাড়ি ফিরতে চাওয়ায় তাকে বেধড়ক পে’টালেন শিক্ষক।
হাটহাজারী পৌরসভার মা’রকাজুল কোরআন ইসলামি অ্যাকাডেমি মাদরাসায় ঘ’টেছে এ ঘ’টনা। মঙ্গলবার (৯ মা’র্চ) থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শি’শু নি’র্যাতনের ভিডিওটি ভাইরাল হয়।
বিষয়টি নজরে এলে হাটহাজারী উপজে’লা নির্বাহী ক’র্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন নিজ উদ্যো’গে শি’শুটিকে উ’দ্ধার করেন। কিন্তু পরিবারের অনিচ্ছায় ওই মাদরাসা শিক্ষকের বি’রুদ্ধে ব্যব’স্থা নেওয়া যায়নি।
জা’না গেছে, মা’রকাজুল কোরআন ইসলামি অ্যাকাডেমি মাদরাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়াসিনকে গত ৮ মা’র্চ বিকেলে দে’খতে যান মা পারভিন আক্তার ও বাবা মোহাম্মদ জয়নাল। কিন্তু ফেরার সময় ছোট্ট শি’শুটি মা-বাবার স’ঙ্গে বাড়ি যাওয়ার বায়না ধ’রে। একপর্যায়ে শি’শুটি মা-বাবার পিছু পিছু মাদরাসার মূল ফটকের বাইরে চলে আ’সলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মাদরাসার শিক্ষক মো. ইয়াহিয়া।
মূল ফটকের বাইরে যাওয়ায় শি’শুটিকে বেধড়ক পে’টাতে থাকেন তিনি। এসময় শি’শুটির বাঁ’চার আকুতিও শুনেননি ওই শিক্ষক।
হাটহাজারী উপজে’লা নির্বাহী ক’র্মকর্তা রুহুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, ঘ’টনাটি আমা’র নজরে আসার স’ঙ্গে স’ঙ্গে মঙ্গলবার (৯ মা’র্চ) রাত ১টার দিকে থা’না পু’লিশের কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে ঘ’টনাস্থলে গিয়ে শি’শুটিকে উ’দ্ধার করি এবং অ’ভিযুক্ত শিক্ষককে আ’টক করি। কিন্তু পরিবার ওই শিক্ষকের বি’রুদ্ধে আ’ইনি কোনো ব্যব’স্থা নিতে রাজি নন। তাই বাধ্য হয়ে ওই শিক্ষককে ছে’ড়ে দিয়েছি।
বুধবার (১০ মা’র্চ) সকালে শি’শুটিকে দে’খতে কিছু খেলনা নিয়ে তার বাড়িতে যান রুহুল আমিন। তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার ছিল ইয়াসিনের জ’ন্মদিন। ছেলেটার শ’রীরের ব্য’থা নয়, মনের ব্য’থা কমানোর চেষ্টা করছি। শ’রীরের ব্য’থা হয়তো নাপা খেলেই সেরে যাবে। ইয়াসিন দ্রুত ভুলে যাক এই জ’ন্মদিনের স্মৃ’তি’।