কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে স্কুলছাত্রীকে নিয়ে রাত্রিযাপনকালে হিলচিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন সাজুকে (২৮) আটক করেছে এলাকাবাসী। পরে এই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে সাজুর বিয়ের আয়োজন করেন তারা।
স্থানীয়রা জানায়, সাজুর বাড়ি উপজেলার বালিগাঁও দক্ষিণপাড়া গ্রামে। বৃহস্পতিবার রাতে এক স্কুলছাত্রীকে নিয়ে একটি ঘরে রাত্রিযাপনকালে টের পেয়ে এলাকাবাসী তাদের দু’জনকে আটক করে রাখে।
পরে শুক্রবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও স্থানীয় মেম্বারসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মিলে মেয়েটির সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতার বিয়ের আয়োজন করেন। তবে এই ছাত্রীর বয়স ১৫। স্থানীয় একটি হাই স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ে সে।
জানা গেছে, বিয়েতে দেনমোহর ধার্য করা হয় আট লাখ টাকা। তবে কোনো উসুল দেওয়া হয়নি। বিয়েতে উভয়ের পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া হিলচিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাজহারুল হক নাহিদ, ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাপ মিয়া, ওয়ার্ড মেম্বার দিলু মিয়াও উপস্থিত ছিলেন।
হিলচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাজহারুল হক নাহিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, সাজ্জাদ হোসেন সাজুকে ওই মেয়েসহ এলাকাবাসী একটি ঘরে সারা রাত আটকে রাখে। পরে সকালে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে আট লাথ টাকা দেনমোহরে দু’জনের বিয়ে দেওয়া হয়।
বাজিতপুর থানার ওসি মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে তিনি কিছু শোনেননি।এ ব্যাপারে বাজিতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনের সাংসদ মো. আফজাল হোসেন বলেন, সাজ্জাদ একটা ‘বাজে ছেলে’। ছাত্রলীগে তার জায়গা হবে না। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতিকে সাজ্জাদের বিষয়ে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।