স্বামীকে হ’ত্যার কথোপকথনের রেকর্ডিং প্রেমিকের ফোনে!

গত বছর মা’রা যান নাসির উদ্দীন। তখন তাকে স্বা’ভাবিকভাবেই দা’ফন করা হয়। তবে এ ঘট’নার প্রায় ৯ মাস পর নাসিরকে পরিকল্পিতভাবে হ’ত্যা’র কথোপকথনের রেকর্ডিং পাওয়া যায় তার স্ত্রী মিতুর পরকীয়া প্রেমিক রাজুর হারিয়ে যাওয়া মোবাইলে। পরে থা’নায় অ’ভিযোগ করলে পু’লিশ নাসিরের স্ত্রী ফাতেমা মিতু (২৪) এবং মিতুর পরকীয়া প্রেমিক রাজু মিয়াকে (২০) গ্রেফ’তার করে পু’লিশ।

বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে অ’ভিযান চালিয়ে রাজু ও মিতুকে গ্রেফ’তার করে পু’লিশ। আজ আদালতে হাজির করে দুই অ’ভিযুক্তের রিমা’ন্ড আবেদন করা হবে বলে জা’নিয়েছে পু’লিশ। গ্রে’ফতার ফাতেমা মিতু বরগুনা পৌরসভার থা’নাপাড়া এলাকার মো. মাহতাব হোসেনের মেয়ে এবং রাজু মিয়া ঢলুয়া ইউনিয়নের গুলবুনিয়া এলাকার বারেক মিয়ার ছেলে।

গত বছরের ২৩ মে রাতে মৃ’ত্যু’বরণ করেন বরগুনা সদর উপজে’লার ঢলুয়া ইউনিয়নের গয়েজ উদ্দিনের ছেলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাসির উদ্দিন। তার স্ত্রী মিতুর কাছে নাসিরের হৃদয’ন্ত্রের ক্রিয়া ব’ন্ধ হয়ে মৃ’ত্যুর খবর পাওয়ার পর স্বা’ভাবিকভাবেই তার ম’রদে’হ দা’ফন সম্পন্ন করেন নাসিরের স্বজনরা। নাসির-মিতু দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে।

এ বিষয়ে বরগুনার পু’লিশ সুপার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক বলেন, ‘গত বছরের ২৩ মে ঈদুল ফিতরের আগের রাতে নাসিরের মৃ’ত্যুর খবর পান তার স্বজনরা। পরে নাসিরের স্বা’ভাবিক মৃ’ত্যু জে’নে তাকে স্বা’ভাবিক নিয়মেই দা’ফন করা হয়। ঘট’নার আট মাস ১৯ দিন পর তার স্বজনরা জানতে পারেন নাসিরের স্ত্রী ফাতেমা মিতু ও তার পরকীয়া প্রেমিক রাজু মিলে নাসিরকে পরিকল্পিতভাবে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে কম্বল চে’পে শ্বা’সরো’ধ করে হ’ত্যা করেন।

এ ঘ’টনায় নাসিরের বড় ভাই মো. জলিল হাওলাদার বরগুনা সদর থা’নায় অ’ভিযোগ করলে তদ’ন্তে নামে পু’লিশ। পরে তদ’ন্তকালে ঘ’টনার প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়ায় নাসিরের স্ত্রী ফাতেমা মিতু ও তার পরকীয়া প্রেমিক রাজুকে গ্রে’ফতার করা হয়। জা’না গেছে, ফাতেমা মিতুর পরকীয়া প্রেমিক রাজুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বরগুনার একটি দোকানে চার্জ এ দেয়া হয়।

সেখান থেকে তার মোবাইলটি হারিয়ে যায়। হারিয়ে যাওয়া ফোনে নাসিরকে হ’ত্যার প’রিকল্পনা এবং পরবর্তী বিষয়ে রাজু ও মিতুর কথোপকথনের রেকর্ড জমা থাকে। পরে হারিয়ে যাওয়া ওই ফোনের কথোপকথন পায় নাসিরের স্বজনরা। এর প্রেক্ষিতে থা’নায় অ’ভিযোগ করেন নাসিরের বড় ভাই জলিল হাওলাদার।

এ বিষয়ে নাসিরের বড় ভাই ও মা’মলার বাদী মো. জলিল হাওলাদার বলেন, ‘মিতুর কাছ থেকে আমা’র ভাইয়ের হৃদয’ন্ত্রের ক্রিয়া ব’ন্ধ হয়ে মৃ’ত্যুর খবর পাই আম’রা। তখন আমাদের কোনো কিছু সন্দে’হ হয়নি। তাই স্বা’ভাবিক নিয়মেই আম’রা নাসিরকে দা’ফন করি।

পরে মিতু ও রাজুর মোবাইল ফোনে কথোপকথনের বেশ কয়েকটি রেকর্ড পাই আম’রা। সে রেকর্ডে নাসিরকে পরিকল্পিতভাবে হ’ত্যার প’রিকল্পনা ও বাস্তবায়নের কথোপকথন রয়েছে। তখন আম’রা নাসিরকে পরিকল্পিতভাবে হ’ত্যার বিষয়টি নি’শ্চিত হই। এরপর অ’ভিযোগ করলে পু’লিশ তাদের গ্রে’ফতার করে।