করোনা টেস্ট জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগে গ্রেপ্তার রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে করা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
সোমবার দুপুরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত এই আদেশ দেন। পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডই সাজা। পাশাপাশি আরেকটি ধারায় সাহেদকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে রায়ে। তবে দুই ধারার সাজা একসঙ্গে কার্যকর হবে বলে তার ক্ষেত্রে যাবজ্জীবনই প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
রায় ঘোষণার সময় সাহেদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী মো.মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
গত ২০ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে ২৮ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইনে করা মামলায় রায় ঘোষণার দিন ধার্য করে আদালত। এই মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে।
গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর গত ১৯ জুলাই সাহেদকে নিয়ে গভীর রাতে অভিযান পরিচালনা করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। অভিযানে সাহেদের ব্যক্তিগত একটি গাড়ি, একটি অবৈধ অস্ত্র ও ১৫ বোতল মদ উদ্ধার করা হয়। সে ঘটনায় সাহেদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় অস্ত্র আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করে পুলিশ।
মামলার পর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাহেদকে হাজির করা হলে বিভিন্ন মেয়াদে তাকে রিমান্ডে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন। এ ছাড়া সাতক্ষীরায় অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় দুটি মামলা করা হয়।
গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। এ ঘটনার পর পালিয়ে যান সাহেদ। পরে ১৫ জুলাই সাহেদকে সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।