সরকারি হাসপাতালে ৭০০ টাকায় করোনা সনদ!

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। বুধবার দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ অভিযান হয়। এ সময় ভুয়া করোনা নেগেটিভ সনদ বিক্রির দায়ে একজনকে আটক করা হয়েছে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আটক মাহফুজুর রহমান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই)। তিনি মিরপুর উপজেলার চুনিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

এলাকাবাসী জানায়, পাবনার রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে চাকরির জন্য করোনা নেগেটিভ রেজাল্ট দিতে হচ্ছে। এই সুবাধে অবৈধ পন্থায় ৭০০ থেকে ১৫০০ টাকায় কয়েকদিন ধরেই মিরপুর হাসপাতাল থেকে ভুয়া করোনা নেগেটিভ সনদ দিয়ে আসছিলেন মাহফুজ।

এদিকে অভিযানের সময় গণমাধ্যম কর্মীদের হাসপাতালের ছবি ও ভিডিও নিতে বাধা দেন মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জেসমিন আরা।

গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, করোনার পরীক্ষার জন্য নমুনা না দিয়েই নেগেটিভ রেজাল্ট দিচ্ছে এমন সুনির্দিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভিযান চালাই। এসময় মাহফুজুর রহমান নামের একজনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম মিরপুর থানায় একটি মামলা করেছেন।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম বলেন, কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জনের দেয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা মাহফুজুর রহমানকে আটক করি। এ সময় তার কাছ থেকে একটি কম্পিউটারের হার্ডডিক্স, একটি পেনড্রাইভ এবং একটি স্ট্যাম্প সিল ও ১৩টি নেগেটিভ করোনার ভুয়া সনদের ফটোকপি জব্দ করা হয়েছে।

কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন সময়ে কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবের তথ্য সমন্বিত ফরমেট ব্যবহার করে ভুয়া করোনার সনদ দিয়ে আসছিল মাহফুজুর রহমান। যারা প্রতারণার মাধ্যমে এভাবে করোনার সনদ দেবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ, মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কয়েকজন অসাধু চিকিৎসক এবং কর্মচারীর সমন্বয়ে একটি চক্র এ ধরনের কর্মকান্ড করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকেই করে আসছে।