আপন চাচির সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েছেন রুবায়েত আনোয়ার মনির (৪৫) নামে এক আইনজীবী। শরীয়তপুর সদর উপজেলার টাউন চিকন্দী এলাকায় বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে আইনজীবীকে ধরে ফেলে এলাকাবাসী। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি গোপন সম্পর্ক করে আসছিলেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
রুবায়েত আনোয়ার মনির শরীয়তপুর জজ কোর্টের অভিজ্ঞ আইনজীবী। তিনি উপজেলা চিকন্দী ইউনিয়নের ছোট স্বন্দীপ গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক মোল্যার ছেলে। এছাড়া তার চাচি দুই সন্তানের জননী এবং এক বছর আগে তার স্বামী মৃত্যু বরণ করেন।
এলাকাবাসী সূত্র জানায়, চাচা বেঁচে থাকতেই মনির ও তার চাচির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিভিন্ন অসামাজিক কাজেও লিপ্ত হতেন তারা। একাধিকবার সালিশ দরবারও হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন চলছিল।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে আইনজীবী মনির তার চাচির ঘরে যান। তাদের পাশাপাশি ঘর। বিষয়টিতে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে রাত আড়াইটার দিকে তাদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান এবং ঘরের দরজা বাহির থেকে তালা লাগিয়ে দেন।
পরে আইনজীবী মনিরের মোহরা আলি হোসেন ও তার চাচাতো ভাই জাকির হোসেন মোল্যা গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন।
আইনজীবী মনিরের মোহরা আলি হোসেন বলেন, সংবাদশুনে ঘটনাস্থলে যাই। যেয়ে দেখি ঘরের দরজা বাহির থেকে লাগানো। দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে দেখি মনির স্যারে ও তার চাচি। পরে তাদের উদ্ধার করি।
চিকন্দী ইউনিয়ন পরিষদ সাবেক মেম্বার রমিজ খা বলেন, ঘটনাটি রাতে শুনেছি। মনির ও তার চাচীকে আপত্তিকর অবস্থায় যারা ধরেছে তাদের ও এলাকার গণ্যমান্য লোক নিয়ে এক যায়গায় বসেছিলাম। দুই পক্ষের কথা শুনে সমাধানের চেষ্টা করছি।
টাউন চিকন্দী পুলিশ ফাঁড়ির আইসি আমিনুল বলেন, ঘটনাটি আমি লোকমুখে শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করতে আসেনি।
আরআর