‘পদ্ধা সেতু নির্মাণে মানুষের কাটা মাথা লাগবে’- এই গুজবটি দুবাই থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রথম প্রচার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
আজ (বুধবার) পুলিশ সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। আইজিপি বলেন, “দুবাই থেকে এক ব্যক্তি পোস্ট করেন যে, ‘পদ্মা সেতুতে মাথা লাগবে’। তিনি সরকার বিরোধী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। সারাদেশে এখন পর্যন্ত ৩১টি মামলা হয়েছে। এর বিপরীতে ১০৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা আহ্বান জানিয়েছি, কেউ আইন নিজের হাতে আইন তুলে নেবেন না। কাউকে হত্যা করবেন না।”
জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, “সারাদেশে গুজবের কারণে এখন পর্যন্ত গণপিটুনিতে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিটি ঘটনা আমরা তদন্ত করে দেখেছি, নিহত কেউ ছেলেধরা বা অপহরণকারী ছিলেন না। সবাই নিরীহ ও নিরপরাধ ছিলেন।”
আইজিপি আরো বলেন, “গুজব ছড়ানোর কাজে ব্যবহৃত ৬০টি ফেসবুক লিঙ্ক ও ২৫টি ইউটিউব লিঙ্ক এবং ১০টি নিউজ পোর্টাল বন্ধ করা হয়েছে। এই সমস্ত ফেসবুক লিঙ্ক ও ইউটিউব লিঙ্কের মাধ্যমে সুপরিকল্পিতভাবে গুজব ছড়ানো হচ্ছিল। সম্প্রতি ছেলেধরা সন্দেহে যতগুলো ঘটনা ঘটেছে সবই গুজব। একটি গোষ্ঠী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব রটিয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিঘ্ন ঘটাতে চাচ্ছে। পুলিশ এ বিষয়ে সতর্ক রয়েছে।
পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, নেত্রকোনায় রবিন নামে এক মাদকাসক্ত ব্যক্তি নেশার টাকার জন্য ব্লেড দিয়ে স্ত্রীর গলা কাটতে গিয়েছিলেন। এই অপরাধে তিনি জেলেও গিয়েছিলেন। বাড্ডার ঘটনাও ছিল গুজব। একজন নিরাপরাধ নারীকে পিটিয়ে মারা হলো।
তিনি বলেন, গুজব রোধে আগামীকাল থেকে সচেতনতা সপ্তাহ শুরু হবে। সমন্বিতভাবে আমরা কাজ করছি। মেট্রোপলিটন সিটিতে জন প্রতিনিধিরাও আমাদের সঙ্গে কাজ করবেন। থানা পর্যায়ে স্কুল-কলেজে যাবে পুলিশ। তাদের সহায়তা দেবে কমিউনিটি পুলিশ। আগামী শুক্রবার জুমার নামাজে খুতবায় ইমামরা বয়ান করবেন।#