ঢাকার ধামরাই উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছেন স্ত্রী। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে ভুক্তভোগীর স্বজনরা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।
এর আগে সোমবার মধ্যরাতে সোমবাগ ইউনিয়নের কংসপট্টিতে এ ঘটনা ঘটে। তবে এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত গৃহবধূকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
ভুক্তভোগী স্বামী (২৭) ধামরাই উপজেলার সোমভাগের কংসপট্টি গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় অভিযুক্ত গৃহবধূ পারভীন (২৪) একই গ্রামের বাসিন্দা। পাঁচ বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে করেন তারা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ভুক্তভোগী স্বামী ভ্যানচালক। তার স্ত্রী পারভীন স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই কথাকাটাকাটি হতো।
সোমবার কাজ শেষে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন স্ত্রী। পথিমধ্যে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয় তার। কিন্তু স্ত্রীর সঙ্গে কোনো কথা না বলে দোকানে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে বসেন স্বামী। কিছুক্ষণ পর বাড়ি এসে স্ত্রীর মোবাইলটি নিয়ে যান স্বামী। এতে রাগ করে বাবার বাড়ি চলে যান পারভীন।
এ ঘটনার পর স্বামী বাসায় ফিরে পারভীনকে দেখতে না পেয়ে আত্মীয়দের বাসায় খোঁজ নেন। কিন্তু কোথাও স্ত্রীকে খুঁজে পাননি স্বামী। রাত ১০টার দিকে পারভীন বাসায় আসলে তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ছুরি দিয়ে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দেন স্ত্রী।
এ সময় স্বামী চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসেন। ঘটনার পরপরই পারভীন পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় পারভীনের স্বামীকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
ভুক্তভোগীর বরাত দিয়ে ধামরাই থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জলিল বলেন, পারভীনের মোবাইলে ২০ টাকা ব্যালেন্স ছিল। দোকানে আড্ডা দেয়ার সময় সেই টাকা খরচ করে ফেলেছিলেন স্বামী। এটাই স্বামীর অপরাধ। মূলত এটা নিয়েই তাদের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। সেখান থেকে এ ঘটনার সূত্রপাত। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত ওই গৃহবধূকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।