বরগুনায় চাঞ্চল্যকর রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার তার স্ত্রী ও মামলার প্রধান সাক্ষী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন আবেদনের শুনানি আগামী ৩০ জুলাই ধার্য করেছেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালত। আজ মঙ্গলবার এ প্রসঙ্গেই কথা বলেছেন তার আইনজীবী ও জেলা বারের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. মাহবুবুল বারী আসলাম।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় দায়রা জজ আদালতে মিন্নির জামিন আবেদন করেন অ্যাডভোকেট মো. মাহবুবুল বারী আসলাম। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার আবেদনের শুনানির জন্য ৩০ জুলাই দিন ধার্য করেন আদালত।
পরে অ্যাডভোকেট মো. মাহবুবুল বারী আসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত ২১ জুলাই আমি মিন্নির পক্ষে বরগুনা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে প্রথম জামিনের দরখাস্ত করি। ওই জামিনের দরখাস্ত নামঞ্জুর হলে আমি বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিনের জন্য ফৌজদারি মিসকেস দরখাস্ত করি। আজ তার জামিনের দরখাস্ত অ্যাডমিশন হয়েছে। নিম্ন আদালতে নথি দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩০ জুলাই জামিনের আবেদন শুনানির জন্য রয়েছে।’
মিন্নির জামিন নিয়ে কতটুকু আশাবাদী এ প্রসঙ্গে ওই আইনজীবী বলেন, ‘আমরা আশাবাদী এবার মিন্নির জামিন হবে।’
এর আগে গতকাল সোমবার আদালতে মিন্নির দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রত্যাহার ও তার চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তির আবেদন নামঞ্জুর করা হয়। বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বিচারক মো. সিরাজুল ইসলাম গাজী ওই আবেদন নামঞ্জুর করেন।
এদিন মাহবুবুল বারী আসলাম জানান, ‘মিন্নির ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দি বাতিলের জন্য তার স্বাক্ষর নিতে এবং মিন্নির চিকিৎসার জন্য তাকে হাজির করার আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু আদালত বিষয়টি জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সম্পন্ন করার পরামর্শ দিয়ে আবেদন নাকচ করে দেন।’ এর আগের দিন মিন্নির পক্ষে আইনজীবীরা জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করেন একই আদালত।
রিফাত হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ১৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা সবাই ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। প্রধান আসামি নয়ন বন্ড ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে।
মামলার এজাহারভুক্ত ১২ আসামির মধ্যে এখনো চারজন গ্রেপ্তার হয়নি। তারা হচ্ছে−মুসা, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রায়হান ও রিফাত হাওলাদার। আগামী ৩১ জুলাই মামলার চার্জ গঠনের তারিখ ধার্য রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২৬ জুন সকালে প্রকাশ্যে বরগুনা সরকারি কলেজ গেটের সামনে রিফাতকে কুপিয়ে আহত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় বরিশাল নেওয়ার পর তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন।