পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে পর*কিয়ার জেরে সিয়াম মাহমুদ নামে পঞ্চম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থীকে নৃ*শংস খু*নের ঘটনায় বিভিন্ন সাক্ষ্য প্রমাণাদির ভিত্তিতে এক আসা*মীকে গ্রে*ফতার করেছে পুলিশ। গ্রে*ফতারকৃত আ*সামী মির্জাগঞ্জ উপজেলার ৬নং মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম ওরফে জামাল মেম্বার। সোমবার (১৫ জুলাই) উপজেলার সুলতানাবাদ থেকে পুলিশ তাকে গ্রে*ফতার করে।
গ্রে*ফতারের পর ১৬৪ ধারায় আদালতে আ*সামীর জবানবন্ধি গ্রহণ করে জেলে পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১০ টায় মির্জাগঞ্জের মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের সুলতানাবাদ গ্রামের আলী আকনের পুকুরের পূর্ব পাশের ধানি জমিতে খাটাশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সিয়াম মাহমুদের গলাকা*টা, দুই হাতের কব্জি কাটা ও ডান চোখ জখম অবস্থায় লা*শ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় ২৭ জানুয়ারি মির্জাগঞ্জ থানায় নিহতের বাবা শাজাহান গাজী বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে ১৫ জুলাই সোমবার সকালে মূল আসামি মেম্বার মো. সাইফুল ইসলামকে গ্রে*ফতার করা হয়। পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. মইনুল হাসান জানান, মির্জাগঞ্জের শিক্ষার্থী সিয়াম মাহমুদ হ*ত্যা মা*মলার রহস্য উদ্ঘাটন করা হয়েছে। মা*মলার রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল আসামি সাইফুল ইসলামকে গ্রে*ফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জামাল জানায়, শাজাহান গাজী ও ইসমাইল গাজীর মধ্যে সম্পত্তির বিরোধের কারণে বারবার শাজাহান গাজীর বাড়িতে আশা যাওয়ার একপর্যায়ে শাজাহানের স্ত্রীর সঙ্গে জামাল মেম্বারের প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয়।
তিনি আরও জানান, গত ২৫ জানুয়ারি এলাকায় ওয়াজ মাহফিল চলাকালে মাগরিবের আজানের পর জামাল মেম্বার ও শাজাহানের স্ত্রীর মধ্যে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে সিয়াম রুমের মধ্যে ঢুকে দেখে ফেলে এবং ওই ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টায় থাকে। একপর্যায়ে জামাল মেম্বার আসামিদের সঙ্গে আলোচনা করে দুই লাখ টাকার বিনিময়ে সিয়ামকে হ*ত্যা করার পরিকল্পনা করে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী সিয়ামকে ঝালমুড়ি খাওয়ার কথাবলে মাহফিলে ডেকে নিয়ে যায়। ঝালমুড়ি খাওয়া অবস্থায় মা*ফলার দিয়ে মুখ বেঁধে তুলে নিয়ে যায়। পরে আলী আকনের পুকুরের পূর্ব পাশের ধানি জমিতে মাফলার দিয়ে বেঁধে সিয়ামের গলা ও দুই হাতের কব্জি কে*টে চলে যায়। তিনি আরও জানান, দোষ স্বীকার করে আজ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। হ*ত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্য সহযোগীদের আইনের আওতায় আনতে বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।