পার্বত্য খাগড়াছড়ির রামগড়ের নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করতে স্বামীকে সহযোগিতায় মা মনোয়ারা বেগমকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৯ জুলাই) বিকেলে রামগড় থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ মামলার এজাহারভুক্ত আসামিকে আটক করেছেন।
ধর্ষনের শিকার মাদরাসা ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে রামগড় থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো: মনির হোসেন বলেন, পাষন্ড পিতা মো. আবুল কাশেমকে আটকের জন্য পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
ধর্ষনের শিকার মাদরাসা ছাত্রীর চাচা মো. ওমর ফারুক বাদী হয়ে রামগড় থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় পাষন্ড পিতা মো. আবুল কাশেমকে ধর্ষণে সহযোগিতার জন্য মা মনোয়ারা বেগমকেও আসামি করা হয়েছে।
এরআগে খাগড়াছড়ির রামগড়ে মায়ের সহযোগিতায় মাদরাসা পড়ুয়া নিজের ঔরশজাত মেয়েকে ধর্ষণ করে পিতারূপী এক নরপশু। গেল ২ জুলাই রাতে জোরপূর্বক প্রথমবার তাকে ধর্ষণ করে। এভাবে পিতার দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় সে। পিতার পা ধরে ক্ষমা চেয়েও ধর্ষণের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারেনি পিতার যৌন লালসার শিকার ওই মেয়েটি।
সবশেষ গত ১২ জুলাই গভীর রাতে ছোট ভাই-বোন নিয়ে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় তাকে আবারও ধর্ষণ করতে গেলে সে তার সাথে খারাপ কাজ না করে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলতে বলে। ধর্ষণের সময় সে চিৎকার চেঁচামেচি করতে চাইলে মা তার মুখ চেপে ধরতো। ধর্ষণের কথা প্রকাশ করলে তাকে গলাটিপে হত্যা করে মরদেহ বস্তায় ভরে মাটিতে পুঁতে ফেলারও ভয়ভীতি দেখাতো তার পিতা।
বিষয়টি প্রথমে দাদীকে জানালেও দাদী কোনো প্রদক্ষেপ না নেয়ায় গত ১৪ জুলাই তার চাচা ওমর ফারুককে পিতার যৌন লালসার শিকারেরর কথা জানায় ওই মাদরাসা ছাত্রী।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) রাতে মেয়ে ও তার মাকে থানায় নিয়ে গেলে তাদেরকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মেয়েটি একাধিকবার তার পিতার হাতে ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছে। এসময় তার মাও বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এদিকে এ ঘটনা জানাজানির পর দিনমজুর পাষান্ড পিতা পলাতক রয়েছে।