পরকীয়া মানুষের কাছে চিরকালই খুব আগ্রহের জিনিস। কিন্তু মানুষ পরকীয়াকে গভীর গোপন পাপের চোখে দেখে। সেটা করার জন্য মানুষ ভয়ও পায়। ভয়ের কারণে অন্য কারুর বউকে পছন্দ হলে পুরুষেরা একদমই সেটা খোলাখুলি ভাবে বলে না। লুকোতে চেষ্টা করে। কিন্তু তারা বুঝতে পারে না যে প্রেম লুকিয়ে রাখা যায় না কখনোই। তাও তারা চেষ্টা করে লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে নিজেদের সম্পর্ককে বাঁচাতে।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত সবকিছুই প্রকাশ হয়ে যায়। এখন সবাই লুকিয়ে লুকিয়ে না করে সামনে এসে বীরের মত প্রেম করে। পরকীয়া নিয়ে এখন আর কেউ চাপ নেয় না একদমই। কারণ পরকীয়া এখন বৈধ। অন্তত আদালতের নতুন নিয়ম অনুযায়ী তো তাই। এইসব ব্যাপার এখন খুব সাধারণ হয়ে গেছে।
লোকের চোখে এখন অপরাধী হতে আর কেউ ভয় পায় না একদমই। বর্তমানে পরকীয়া নিয়ে বহু খবর সামনে এসেছে। আজ আমরা এইরকমই এক ডেয়ারডেভিলের গল্প আপনাদের জানাবো। সুরক্ষার জন্য আমরা নাম ব্যবহার করছি না। বিঃদ্রঃ ছবিগুলি শুধুমাত্র দৃষ্টান্তের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।
গ্রামের এক বাড়িতে চলছে পূজার অনুষ্ঠান। বিশাল বড় পরিবার। সেই পরিবারের সদস্য সংখ্যা এত বেশী যে তাদের দেখে অন্য অনেক পরিবার হিংসা করে। কারণ তারা সবসময় একসাথে সময় কাটায়, আনুন্দ করে। তাদের বাড়ির পূজা অনুষ্ঠান জাঁকজমক হয় দেখার মত।
এত জাঁকজমক গোটা গ্রামের লোকই কখনোই দেখেনি। কিন্তু কেউই জানে না যে তাদের বাড়িতে বাসা বেঁধেছে এক পাপ। সেই পাপের গল্প জানা ছিল না কারুর। এটা সকলের অবিশ্যাস্য যে এই বাড়িতে এত সুখের মধ্যেও বাসা বাঁধতে পারে পাপ।
এই বাড়ির এক ভাগ্নে প্রচণ্ড দেহলোলুপ। সে আগে থেকেই তার মামিকে দেখে তার প্রেমে পড়েছিল এবং একদমই সেই মামিকে তার চোখের আড়ালে হতে দিত না। কেউই ভাবতে পারেনি যে সে মামির প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে। লোকজন সন্দেহ করেছিল সামান্য।
তবে তাদের সেই সন্দেহ আরো দৃঢ় হয়েছিল যখন তারা তাদের দুজনকে একসাথে দেখতে পেয়েছিল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সব সন্দেহের অবসান ঘটিয়ে পূজার দিন তারা দুজন একসাথে বাড়ি ছেড়ে রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যায়।
তারা পালানোর পর পাড়ার সবাই ছি ছি কারে ভরিয়ে দিয়েছে, চলছে প্রচণ্ড সমালচনা। পরিবারে লেগেছে তুমুল অশান্তি। তাদের দুজনের খবর এখনও পাওয়া যায়নি। পরকীয়া বৈধ, তাই হয়ত আইনত তাদের কিছু হবে না। কিন্তু ভবিষ্যতে খবর পেলে তাদের পরিবার যে কি করবে কে জানে। পরকীয়ার সুবিধা এবং অসুবিধা দুটোই আছে।