মৃত স্বামীর গ্রেফতারী পরোয়ানার ভয়ে এএসআই এর শারীরিক সর্ম্পক অতঃপর বিয়ে!

বগুড়ার ধুনটে ভয় দেখিয়ে যুবদল নেতার স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগ পাওয়া গেছে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক এএসআই শাহানুর রহমানের বিরুদ্ধে। এমকি কি বিয়ের পরে বিচ্ছেদও ঘটে। এছাড়াও, অনেক অপরিচিত নারীর যাতায়াত ছিলো শাহানুরের ধুনটের বাসায়।

এর আগে শনিবার ‘বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায়’ থানায় ডেকে এনে দুই সন্তানের মাকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় প্রত্যাহার করা এএসআই শাহানুর রহমানকে। থানা থেকে প্রতাহারের পর শাহানুর সম্পর্কে এসব চাঞ্জল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, পুলিশ সুপারের নির্দেশে এএসআই শাহানুরকে ধুনট থানা থেকে প্রত্যাহার করে বগুড়া পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৩ জুন মারা যান ধুনট পৌর যুবদলের সভাপতি মশিউর রহমান পলাশ। রাজনৈতিক কারণে পলাশের বিরুদ্ধে নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে ৬টি মামলা আদালতে বিচারাধীন থাকায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। থানা থেকে এএসআই শাহানুরকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিলের দায়িত্ব দেয়া হয়। সেই সুযোগে পলাশের স্ত্রী এক সন্তানের মা শাপলা খাতুনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন শাহানুর। নিজের স্ত্রী ও সন্তানের কথা গোপন রেখে শাহানুর এ বছরের ৫ জানুয়ারি শাপলাকে বিয়ে করেন। গোপনে শাপলার বাড়িতে যাতায়াতের একপর্যায়ে গত ৭ জুলাই তাদের বিয়ে বিচ্ছেদ হয়।

এ ব্যাপারে শাপলা খাতুন বলেন, ‘মৃত স্বামীর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ঝামেলা মেটাতে শাহানুরের সঙ্গে পরিচয় হয়। তিনি ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। তার স্ত্রী-সন্তান থাকার পরের এ তথ্য গোপন রেখে ২ লাখ টাকার মোহরানায় আমাকে বিয়ে করে।’

তিনি আরো বলেন, ‘বিয়ের পর তার স্ত্রী মোবাইল ফোনে সবকিছু আমাকে খুলে বলেন। শাহানুরের প্রতারণা বুঝতে পেরে ৭ জুলাই তার সঙ্গে বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটাই। বিয়ে বিচ্ছেদকালে ৪ লাখ টাকা দেয়ার কথা বলে আমাকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা দিয়েছে। প্রতারক শাহানুরের শাস্তি চাই।’

নিজের অভিযোগের বিষয়ে এএসআই শাহানুর রহমান বলেন, ‘ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে শাপলাকে বিয়ে করেছিলাম। পরে তার সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে বিয়ে বিচ্ছেদ করেছে।’