কক্সবাজারের মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নের চালিয়াতলী পাহাড়ে নিয়ে এক কিশোরীকে (১৬) ১৪ যুবক পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষকরা সবাই স্থানীয় সিএনজিচালক বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
কিশোরী জানান, তিনি রবিবার সন্ধ্যা ৬টার সময় চকরিয়া থেকে তার আত্মীয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। বদরখালী স্টেশনে নেমে গন্তব্যে যাওয়ার জন্য গাড়ি খুঁজতে থাকেন। এ সময় এক সিএনজিচালক তাকে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে সিএনজিতে তোলে। মহেশখালীর ব্রিজ পার হওয়ার পর চালক আরো সাত-আটজন সিএনজি চালককে ফোন করে চালিয়াতলী স্টেশনে থাকতে বলে।
তিনি আরো জানান, সন্ধ্যার সময় সিএনজিটি চালিয়াতলী স্টেশনে পৌঁছালে আরো তিন যুবক যাত্রীবেশে তাতে ওঠে। কিন্তু সিএনজিটি তার গন্তব্যে না গিয়ে শাপলাপুরের দিকে চলে যায়। এ সময় তিনি চিৎকার করলে যাত্রীবেশে ওঠা তিন যুবক তার মুখ চেপে ধরে।
তিনি বলেন, গাড়িটি চালিয়াতলী স্টেশন থেকে কিছু দূর দক্ষিণে গিয়ে পাহাড়ের ঢালে দাঁড় করানো হয়। এ সময় চালিয়াতলী থেকে আরো তিনটি সিএনজি গিয়ে দাঁড়ায় সেখানে। সেখান থেকে ১৪/১৫ জন যুবক মিলে তাকে পাহাড়ে নিয়ে যায়। তারা সবাই তাকে সেখানে ধর্ষণ করে।
এ সময় কিশোরী শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয় বলে জানান তিনি। যুবকরা রাতভর ধর্ষণের পর তাকে অচেতন অবস্থায় পাহাড়ে ফেলে। সোমবার ভোর ৪টার সময় মেয়েটির জ্ঞান ফিরলে সেখান থেকে চালিয়াতলীস্থ মাতারবাড়ী রাস্তার মাথা আসেন।
ধর্ষণের শিকার কিশোরী আরো জানান, মাতারবাড়ী রাস্তার মাথায় এসে কিশোরী একটি সিএনজিতে এক মহিলা ইউপি মেম্বারের বাড়ি যান।
ওই ইউপি মেম্বার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মেয়েটি আমাকে দত্তক মা ডেকেছেন, সে সূত্রে তিনি আমার মেয়ে। মেয়েটি তার বাড়ি থেকে আমার বাড়ি আসছিল। আসার সময় পথিমধ্যে মহেশখালী চালিয়াতলী স্টেশন থেকে রোববার সন্ধ্যায় ১৪/১৫ জন বখাটে সিএনজিচালক তাকে ধর্ষণ করে।
কয়েক দিন ধরে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে একটি প্রভাবশালী মহল জোর তদবির চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জামিরুল ইসলাম ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক মাতারবাড়ী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ অব ক্যাম্প (আইসি) আনিছ উদ্দিনকে কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
আনিছ ওই কিশোরীকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার সময় পুলিশ হেফাজতে মহেশখালী থানায় নিয়ে যান। সেখানে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
এদিকে ধর্ষকদের গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলছে বলে জানান মহেশখালী থানা পুলিশ।