রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে কোপানোর পর ঢাকায় পালিয়ে এসেছিল প্রধান অভিযুক্ত সাব্বির আহমেদ ওরফে নয়ন বন্ড এবং রিফাত ফরাজী। তারা উঠেছিলেন আফতাবনগরে তাদের এক বন্ধুর কাছে। ২৭ জুন মধ্যরাতে সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর নয়নের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এর ৩ দিন পর ২ জুলাই নয়নের লাশ পাওয়া যায় বরগুনা সদরের বুড়িরচর ইউনিয়নের পূর্ব বুড়িরচর গ্রামে।
পুলিশ জানায়, নয়নকে গ্রেপ্তার করতে ওই এলাকায় গেলে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
জানা যায়, রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার পর ২৭ জুন রাতে রাজধানী ঢাকার আফতাবনগরে সাব্বির আহমেদ ওরফে নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজীর উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
আফতাবনগরের টি ব্লকের আলিফ স্টিল নামক একটি শাটার ও গ্রিল তৈরির ওয়ার্কশপে কাজ করতেন সাব্বিরের বন্ধু সৈকত ও তার ভাই শান্ত। তাদের বাড়ি বরগুনার বেতাগীর ৯ নম্বর কাজিরাবাদ ইউনিয়নে। ওয়ার্কশপের মালিক শফিক তাদের ভগ্নিপতি। তার বাড়িও বরগুনায়। রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার পরদিন রাতে এই ওয়ার্কশপে এসে উঠেছিলেন নয়ন ও রিফাত ফরাজী।
গত শনিবার ওই ওয়ার্কশপে গিয়ে সৈকত ও শান্তকে পাওয়া যায়নি। ওয়ার্কশপের কর্মচারীদেরকে নয়ন ও রিফাতের ছবি দেখালে তারা জানান, ২৭ জুন রাত ১০টার দিকে এই দুজন ওয়ার্কশপে আসেন। তারা রাতের খাবার খান। রাত সাড়ে ১২টার দিকে নয়ন ও রিফাতকে নিয়ে সৈকত বেরিয়ে যান।
আবুল হোসেন নামে এক কর্মচারী বলেন, তিনজন বেরিয়ে যাওয়ার ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর সৈকত দৌড়ে আসেন। তার শরীর ভেজা ছিল। সৈকত তাদের জানান, পুলিশ তাদের ধাওয়া করেছিল। এরপর সৈকত কাপড়চোপড় বদলান এবং তার ভাই শান্তকে নিয়ে ওয়ার্কশপ থেকে বেরিয়ে যান। এরপর থেকে এই দুই ভাইয়ের আর কোনো খবর তারা জানেন না।
শান্ত ও সৈকতের বাবা খবির উদ্দিন হাওলাদার বরগুনার বেতাগী উপজেলার কাজিরাবাদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান।