শারীরিক সম্পর্কের জন্য স্বামীকে আহ্বান জানিয়েছিলেন মদ্যপ স্ত্রী। মদ্যপ হওয়ায় স্ত্রীর এমন আহ্বানে সাড়া দেননি স্বামী। এতেই যেন কপাল পুড়ল তার। আহ্বানে সাড়া না পেয়ে রেগে গিয়ে মদ্যপ অবস্থায় স্বামীর গোপনাঙ্গ ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে কেটে ফেলেছেন স্ত্রী। অবাক করা এ ঘটনাটি ঘটেছে আফ্রিকার দেশ উগান্ডায়।
উগান্ডার অ্যাপাক জেলার চাষী মোসেস ওকোত (৪৬)। স্ত্রীর ধারাল অস্ত্রের কোপে এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছেন এই ব্যক্তি।
এ বিষয়ে ওকোতের বরাত দিয়ে বৃটিশ সংবাদপত্র ডেইলি মনিটর বলেছে, স্ত্রী বিয়াট্রাইস অ্যাসেন (৩৫) বাইরে থেকে মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে ফিরে তার পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছেন। আমি জমিতে কাজ শেষে সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাসায় ফিরে আসি। ওই সময় আমার স্ত্রী বাসায় ছিল না। আমার মেয়ে খাবার দিয়েছিল। খাওয়া শেষে আমি ঘুমাতে যাই। আমার স্ত্রী রাত ১০টার দিকে বাসায় ফিরে চিৎকার শুরু করে। পরে আমি দরজা খুললে সে বাসায় প্রবেশ করে।
এছাড়াও তিনি আরও বলেন, দরজা খুলে দেয়ার পর আমি প্রায় ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এমন সময় আমি কিছুটা ব্যথা অনুভব করি, বিছানা থেকে উঠে দাঁড়াতেই দেখি আমার প্যান্ট রক্তাক্ত এবং রক্ত গড়িয়ে মেঝেতে পড়ছে।
ওকোতের দাবি, স্ত্রী তাকে মদ্যপ অবস্থায় শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু মদ্যপ হওয়ায় শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হবেন না বলে স্ত্রীকে শাস্তি দিতে চেয়েছিলেন ওকোত। মিলনের আহ্বানে সাড়া না দেয়ায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে স্বামীর গোপনাঙ্গে আঘাত করেন স্ত্রী বিয়াট্রাইস।
ওকোত অভিযোগ করে আরও বলেন, এই নারী প্রায়ই অতিরিক্ত মদ্যপানের পর মাতাল অবস্থায় বাসায় আসেন। একজন মানুষ হিসেবে আমি এটা মেনে নিতে পারছিলাম না। এ কারণে আমি তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম; যাতে সে নিজেকে শোধরাতে পারে। কিন্তু সে সব সময় শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে চাইতো।
১০ বছরের বেশি সময় ধরে সংসার করে আসছেন ওকোত এবং বিয়াট্রাইস। তাদের সংসারে ৫ সন্তান রয়েছে। পরে আহত অবস্থায় ওকোতকে অ্যাপাক মেইন হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করছে।