অবশেষে জানা গেলো যে কারণে পালাতে হলো রিফাত হত্যাকারী নয়নের মাকে!

বরগুনায় পুলিশের কথিত বন্দুকযুদ্ধে নয়ন বন্ড নিহত হওয়ার খুশিতে অনেকে মিষ্টি বিতরণ করেছেন। এমনকি তাকে নিজের গ্রাম পটুয়াখালীর দশমিনায় দাফনেও করতে দেওয়নি এলাকাবাসী। বাধ্য হয়ে তার এক মামা নয়নকে দাফন করে বরগুনা সদর উপজেলার সোনারবাংলা গ্রামে।

নয়ন ভন্ড বরগুনা সরকারি কলেজের পিছনে নতুন বাড়ি করে মায়ের সঙ্গে থাকতেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে পলাতক তার মা। খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না তাকে। এলাকাবাসীও এখন ভন্ডের মাকে নানা কারণে দোষারোপ করছে।

এদিকে দাফনের বিষয়ে নয়নের মামা মিজানুর রহমান ভাগিনার অপকর্মের কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা শুনেছি নয়নের লাশ দাফন করতে দেবে না। তাই কোনো রকমের ঝামেলায় না জড়িয়ে নয়নের নানাবাড়ি মানে আমার বাড়িতে নিয়ে এসেছি।

তিনি বলেন, নয়ন যে কাজ করেছে সেটি নিঃসন্দেহে একটি জঘন্য কাজ। যেভাবেই হোক সে মারা গেছে; আমরা ওর লাশ দাফন দিয়েছি। এখন আল্লাহ ওর যা বিচার তা করবে।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজ এলাকায় প্রকাশ্যে স্ত্রীর সামনে শাহ নেওয়ার রিফাত শরীফকে (২৫) রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। ওই দিন বিকেলেই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রিফাতের মৃত্যু হয়।

হামলার ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হলে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়। ভিডিওটিতে দেখা যায়, সন্ত্রাসী দুই যুবক উপর্যুপরি কোপাচ্ছে রিফাতকে। রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি সন্ত্রাসী দুই যুবককে বারবার প্রতিহত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।

নিহত রিফাত শরীফ সদর উপজেলার বড় লবণগোলা গ্রামের আব্দুল হালিম দুলাল শরীফের ছেলে। ওই দিনই তিনি ১২ জনকে আসামি করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরো পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় সাব্বির আহমেদ নয়নকে। আসামির তালিকায় এর পরই রয়েছে রিফাত ফরাজী ও তাঁর ভাই রিশান ফরাজী।