মরিচ ছাড়া রান্না অসম্পূর্ণ থেকে যায়। রান্নায় সাধারণত দুই ধরনের মরিচ ব্যবহৃত হয়। একটা লাল বা শুকনো মরিচ, আরেকটা সবুজ বা কাঁচা মরিচ। দুটিরই আলাদা স্বাদ রয়েছে। সেই সঙ্গে আলাদা স্বাস্থ্য গুণও রয়েছে।
মরিচ সাধারণত সবুজ থাকে। তবে যখন এটা শুকানো হয় তখন এটি লাল বর্ণ ধারণ করে। তখন এটা থেকে আরও তীব্র গন্ধ বের হয়। মরিচ শুকিয়ে লাল করা হলে এটি কিছুটা পুষ্টি উপাদান হারায়।কাঁচা মরিচ এবং শুকনা মরিচের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে।
তাহলে জেনে নেওয়া যাক কোন মরিচ বেশি স্বাস্থ্যকর?
১. শুকনো মরিচের গুঁড়ার চেয়ে কাঁচা মরিচ যে স্বাস্থ্যকর এতে কোনও সন্দেহ নেই। কাঁচা মরিচে বেশি পানি থাকে এবং ক্যালরির পরিমাণ শূণ্য থাকে যা এটাকে বেশি স্বাস্থ্যকর করে তোলে। কাঁচা মরিচ বিটা ক্যারোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ইনডোরফিনসের দারুণ উৎস। অন্যদিকে শুকনো মরিচ বেশি খেলে পেপটিক আলসারের সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া শুকনো মরিচে ব্যবহারকৃত কৃত্রিম রঙ শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
২. নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। কাঁচা মরিচে থাকা ডিয়াটারি ফাইবার হজমে সহায়তা করে। ভিটামিন ই এবং সি’য়ের ভাল উৎস হওয়ায় কাঁচা মরিচ ত্বকের জন্য বেশ উপকারী।
৩. কাঁচা মরিচে থাকা বিটা ক্যারোটিন হৃৎপিণ্ডের কার্যকারিতা ঠিক রাখে। সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৪. বিপাকক্রিয়া ঠিক রাখায় কাঁচা মরিচ ওজন কমাতেও ভূমিকা রাখে।
৫. অন্যদিকে শুকনো মরিচে থাকা পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
৬. শুকনো মরিচে থাকা ক্যাপসাইসিন উপাদান শরীরের বিপাকক্রিয়া ঠিক রেখে ক্যালরি ঝরাতে ভূমিকা রাখে।
৭. শুকনো মরিচে ভিটামিন সি থাকায় এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৮. শুকনো মরিচে থাকা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তনালীর যেকোন ধরনের ব্লক প্রতিরোধ করে।
৯. বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুকনো মরিচের গুঁড়ার চেয়ে গোটা শুকনো মরিচ বেশি স্বাস্থ্যকর এবং নিরাপদ।
১০. কাঁচা ও শুকনো মরিচ দুটিই রান্নার চেয়ে এমনি খেলে বেশি স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়।
সেই সঙ্গে ভেজাল খাওয়ার হাত থেকেও পরিত্রাণ পাওয়া যাবে। সূত্র : টাইমস অব ইণ্ডিয়া