হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, তোমরা জয়তুনের তেল খাও এবং এর দ্বারা মালিশ কর বা শরীরে মাখো। কেননা, তা বরকতময় গাছ থেকে আসে।’ (সহিহ তিরমিজি, আহমদ) যে ফলগুলোর প্রসঙ্গে মহাগ্রন্থ আল কোরআন ও হাদিসে নববিতে এসেছে তার অন্যতম হলো জয়তুন বা জলপাই।
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘আর তিনি এ পানি দ্বারা তোমাদের জন্য উৎপাদন করেন ফসল।
জয়তুন (জলপাই) খেজুর, আঙুর ও সব ধরনের ফল। নিশ্চয়ই এতে চিন্তাশীলদের জন্য নিদর্শন রয়েছে। (সূরা : নাহল : ১১)
এর বরকত সম্পর্কে হাদিসেও এসেছে ‘হযরত মুহাম্মদ (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমরা জয়তুনের তেল খাও এবং এর দ্বারা মালিশ কর বা শরীরে মাখো। কেননা, তা বরকতময় গাছ থেকে আসে। (সহিহ তিরমিজি, আহমদ) শুধু কোরআন ও হাদিস দ্বারাই এর উপকারিতা বা ব্যবহার প্রমাণিত নয়।
বরং চিকিৎসা বিজ্ঞানেও রয়েছে এর উপকারিতা। ‘খাবারে জয়তুনের তেল ব্যবহারের ফলে শরীরের ব্যাড কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণ হয় এবং গুড কোলেস্টেরল জন্ম হয়। তাছাড়া পাকস্থলীর জন্য এ তেল অনেক উপকারী।
যখন মানুষের হৃদপিণ্ডের রক্তনালীতে চর্বি জমে, তখন হার্টএ্যটাক করার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি থাকে। জয়তুন তথা অলিভ অয়েল অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হার্ট ব্লক হতে বাধা দেয়। জয়তুনে রয়েছে মনো-স্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা আমাদের হার্টের জন্য খুবই উপকারী।
জয়তুনে আছে ভিটামিন ই। এটা শরীরে যেভাবে প্রয়োগ করা হোক না কেন আলট্রাভায়োলেট রেডিয়েশন থেকে চামড়াকে রক্ষা করে। যা স্কিন ক্যান্সার থেকে মানুষকে রক্ষা করে।
হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার পর কয়েক ফোঁটা জলপাই তেল মুখে মাখলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়। গোসলের আগেও জয়তুন তেল শরীরে মাখলে অনেক ধরনের সমস্যা থেকে চামড়া ভালো থাকে।জয়তুন তেল অ্যালার্জি প্রতিরোধে সহায়তা করে। জয়তুনে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি।
যা ত্বকের ইনফেকশন ও অন্যান্য ক্ষত সারাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। কোনো কিছু রান্না করার সময় তেল ব্যবহার করা হয়। কিন্তু বাজারে যেসব তেল কিনতে পাওয়া যায় তার মধ্যে অলিভ অয়েলই সবচেয়ে ভালো।
এটি শরীরের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। অলিভ অয়েল শুধু খাওয়ার কাজেই ব্যবহার হয় না, তা গায়েও মাখা যায়।