কাঁকরোল দেখতে অনেকে সুন্দর কিন্তু খুব কম মানুষ এই সবজিটি কিনে বাসায় নিয়ে যান। এই সবজিটি কেন জানি মানুষ খেতে চায় না।
কিন্তু অনেকেই জানেন না এই সবজিটির কত গুণ। এটিকে ‘স্বর্গীয় ফল’ বলা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, আমরা যেইসব গতানুগতিক সবজি খেয়ে থাকি তার অনেকের চেয়ে কাঁকরোলের পুষ্টিগুণ অনেকে বেশি।
তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় কাঁকরোল রাখা ভালো। এবার জেনে নিন কাঁকরোলের আরও নানা উপকারিতা:
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, কাঁকরোলের পুষ্টি উপাদান ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং ক্যান্সার কোষের সংখ্যা বৃদ্ধিকে ধীর গতির করতে পারে। এতে নির্দিষ্ট একটি প্রোটিন থাকে, যা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধিকে প্রতিহত করতে পারে। এজন্যই কাঁকরোলকে ‘স্বর্গীয় ফল’ আখ্যা দেওয়া হয়।
অ্যানেমিয়া প্রতিহত করে কাঁকরোলে প্রচুর আয়রন থাকার পাশাপাশি ভিটামিন সি ও ফলিক এসিড ও থাকে। এ কারণে নিয়মিত এটি খেলে অ্যানেমিয়ার প্রতিহত করা সম্ভব হয়।
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় যাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি বা যাদের উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরলের রয়েছে তাদের নিশ্চিন্তে কাঁকরোল খেতে পারেন। এটি উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ প্রতিরোধ করে যেহেতু কাঁকরোলে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে তাই এটি কার্ডিওভাস্কুলার রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। সক্রিয় জীবনযাপনের পাশাপাশি কাঁকরোল খাওয়া হৃদস্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।
দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায় কাঁকরোলে চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ভিটামিন, বিটাক্যারোটিন ও অন্যান্য উপাদান থাকে, যা দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে সাহায্য করার পাশাপাশি চোখের ছানি প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
বিষণ্ণতা প্রতিহত করে কাঁকরোলে সেলেনিয়াম, মিনারেল এবং ভিটামিন থাকে, যা নার্ভাস সিস্টেমের উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে। তাই বিষণ্ণতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে কাঁকরোল।
তারুণ্য ধরে রাখে কোষের কার্যক্রমকে উদ্দীপিত করার মাধ্যমে এবং স্ট্রেস কমানোর মাধ্যমে বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ধীর গতির করতে সাহায্য করে কাঁকরোল। কোলাজেনের গঠনকে পুনর্নির্মাণের মাধ্যমে বয়সের ছাপ প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখে এটি।