বিএসটিআইয়ের পরীক্ষাহ নিম্নমানের প্রমাণীত হওয়ায় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রায় ৫২টি খাদ্যপণ্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এগুলো জব্দ করে ধ্বংস করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এসব পণ্য উৎপাদন করা যাবে না বলেও জানান দুই বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিল।
যেসব পণ্য প্রত্যাহারের আদেশ দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো-
১. তীর ব্র্যান্ডের সরিষার তেল
২. জিবি ব্র্যান্ডের সরিষার তেল
৩. পুষ্টির সরিষার তেল
৪. রূপচান্দার সরিষার তেল
৫. সান ব্র্যান্ডের চিপস
৬. আরা ব্র্যান্ডের ড্রিংকিং ওয়াটার
৭. আল সাফি ব্র্যান্ডের ড্রিংকিং ওয়াটার
৮. মিজান ব্র্যান্ডের ড্রিংকিং ওয়াটার
৯. মর্ণ ডিউ ব্র্যান্ডের ড্রিংকিং ওয়াটার
১০. ডানকানের ন্যাচারাল মিনারেল ওয়াটার
১১. আর আর ডিউ ব্র্যান্ডের ড্রিংকিং ওয়াটার
১২. দিঘী ব্র্যান্ডের ড্রিংকিং ওয়াটার
১৩. প্রাণের লাচ্ছা সেমাই
১৪. ডুডলি ব্র্যান্ডের নুডলস
১৫. টেস্টি তানি তাসকিয়া ব্র্যান্ডের সফট ড্রিংক পাউডার
১৬. প্রিয়া সফট ড্রিংক পাউডার
১৭. ড্যানিশ ব্র্যান্ডের হলুদের গুড়া
১৮. প্রাণের হলুদের গুড়া
১৯. ফ্রেস ব্র্যান্ডের হলুদের গুড়া
২০. এসিআই পিওর ব্র্যান্ডের ধনিয়া গুড়া
২১. প্রাণ ব্র্যান্ডের কারী পাউডার
২২. ড্যানিস ব্র্যান্ডের কারী পাউডার
২৩. বনলতা ব্র্যান্ডের ঘি
২৪. পিওর হাটহাজারির মরিচের গুড়া
২৫. মিষ্টিমেলার লাচ্ছা সেমাই
২৬. মধুবনের লাচ্ছা সেমাই
২৭. মিঠাই এর লাচ্ছা সেমাই
২৮. ওয়েল ফুডের লাচ্ছা সেমাই
২৯. এসিআইয়ের আয়োডিনযুক্ত লবণ
৩০. মোল্লা সল্টের আয়োডিনযুক্ত লবণ
৩১. কিং ব্র্যান্ডের ময়দা
৩২. রূপসা ব্র্যান্ডের দই
৩৩. মক্কা ব্র্যান্ডের চানাচুর
৩৪. মেহেদি ব্র্যান্ডের বিস্কুট
৩৫. বাঘাবাড়ী স্পেশালের ঘি
৩৬. নিশিতা ফুডসের সুজি
৩৭. মধুযুলের লাচ্ছা সেমাই
৩৮. মঞ্জিল ফুডের হুলুদের গুড়া
৩৯. মধুমতি ব্র্যান্ডের আয়োডিন যুক্ত লবণ
৪০. সান ব্র্যান্ডের হলুদের গুড়া
৪১. গ্রীনলেনের মধু
৪২. কিরণ ব্র্যান্ডের লাচ্ছা সেমাই
৪৩. ডলফিন ব্র্যান্ডের মরিচের গুড়া
৪৪. ডলফিন ব্র্যান্ডের হলুদের গুড়া
৪৫. সূর্য ব্র্যান্ডের মরিচের গুড়া
৪৬. জেদ্দা ব্র্যান্ডের লাচ্ছা সেমাই
৪৭. অমৃত ব্র্যান্ডের লাচ্ছা সেমাই
৪৮. দাদা সুপারের আয়োডিন যুক্ত লবণ
৪৯. তিনতীরের আয়োডিনযুক্ত লবণ
৫০. মদিনা, স্টারশীপের আয়োডিনযুক্ত লবণ
৫১. তাজ ব্র্যান্ডের আয়োডিনযুক্ত লবণ
৫২. নূর স্পেশালের আয়োডিন যুক্ত লবণ
ভাবুন তো একবার, এই পণ্যগুলোই প্রতিনিয়ত খেয়ে চলেছি আমরা, আমাদের রান্নায় এসব তেল-নুন-মশলা ব্যবহার করছি প্রতিনিয়ত!
এমন তো নয় যে রুপচাঁদা, তীর বা ফ্রেশের মতো কোম্পানীগুলো গতকাল থেকে খাদ্যপন্যে ভেজাল মেশাচ্ছে, এই দুই নম্বুরি তারা করে আসছে বছরের পর বছর ধরে।
হাইকোর্ট নিষিদ্ধ না করলে হয়তো জানাও যেতো না যে, খাবারের নামে এই কোম্পানীগুলো এতদিন ধরে আবর্জনা আর বিষ খাইয়ে আসছে আমাদের!
কার ওপরে ভরসা রাখবেন আপনি? না খেয়ে মরে যাওয়া ছাড়া তো আর কোন উপায় নেই আমাদের!