বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর সব দম্পতির চাওয়া থাকে সন্তান। একজন মা গর্ভাবস্থায় সব ধরনের সর্তকতা অবলম্বন করে থাকে। সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখাতে তিনি সব সুখ বিসর্জন দিয়ে থাকেন।
গর্ভবস্থায় শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে অনেক দম্পতি বুঝতে পারে না যে তারা কী করবেন। আর এই নিয়ে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে তাদের মধ্যে। গর্ভাবস্থায় সমাজে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। অনেক দম্পতি মনে করেন এ সময় শারীরিক সম্পর্কে জড়ানো উচিত নয়। এ ধারণা মোটেও সঠিক নয়।
আসুন জেনে নেই গর্ভবস্থায় শারীরিক সম্পর্কে জড়াবেন কীনা?
অনাগত সন্তানের ক্ষতি
অনেকেরই ধারণা গর্ভাবস্থার শারীরিক সম্পর্কের ফলে ভ্রূণ (বাচ্চার) ক্ষতি হয়। এটি সম্পূর্ণ ভুল।গর্ভাবস্থায় ওয়েজাইনা স্ট্রেসের ফলে একটু বৃদ্ধি পায়, এর ফলে গর্ভাশয়ের বাইরের দিকে মিউকাসের একটা ভারী স্তর জমে যায়।তাই এ সময় বাচ্চা সুরক্ষিত থাকে।
পেটে ব্যথা অনুভূত এ সময় পেটে ব্যথা অনুভূত হতে পারে। এর মানে এই নয় যে প্রসব বেদনা। তাই ব্যথা হতেই পারে। তবে এর সঠিক কারণ চিহ্নিত করুন। এছাড়া এ বিষয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।
রক্তক্ষরণ
গর্ভাশয় খুবই স্পর্শকাতর থাকে, মিলনের পরে সামান্য রক্ত আসতে পারে। তবে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
ইনফেকশন
গর্ভাবস্থায় শারীরিক সম্পর্ক হলে ইনফেকশন হতে পারে এটি ঠিক নয়। সঙ্গীর কোনোরকম যৌনরোগ না থাকলে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভবনা নেই। তবে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে চেষ্টা করুন।
সর্তকতা
প্রথম তিন মাস
গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাস শারীরিক সম্পর্ক থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কেননা এটি মা ও গর্ভের সন্তান উভয়ের জন্য ক্ষতি। তবে ৩-৬ মাসে শরীরে অক্সিটনিক (প্রেমজ হরমোন) বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।
তলপেটে কোন চাপ
শারীরিক সম্পর্কের সময় স্ত্রীর তলপেটে কোনো চাপ পড়ে সে বিষয়ে সর্তক থাকুন। এছাড়া গর্ভকালীন সময় স্ত্রী যদি সুস্থ্য ও স্বাভাবিক থাকে তবে শারীরিক সম্পর্কে সমস্যা নেই। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।