স্তন সুন্দর রাখতে মহিলাদের চেষ্টার অন্ত নেই, অথচ প্রতিনিয়ত তাঁদেরই কিছু ভুলে ক্রমশ সৌন্দর্য হারায় স্তন। নারীদের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর একটি সমস্যা হচ্ছে স্তন এর আকৃতি নষ্ট হয়ে যাওয়া বা স্তন ঝুলে যাওয়া।
বয়স, ওজন, অসুখ, যত্নের অভাব, বাজে লাইফ স্টাইল ইত্যাদি নানান কারণেই স্তনের আকৃতি সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। এবং অসংখ্য নারী শুধু এই কারণেই হীনমন্যতায় ভুগতে থাকেন, অনেকের দাম্পত্য জীবনেও দেখা দেয় সমস্যা।
সৌন্দর্যের বিকাশে নারীর বক্ষের মূল্য অপরিসীম। স্বাভাবিক ভাবে জন্মগত গঠনের পর মেয়েরা বক্ষের সৌন্দর্য বাড়াতে পারেন সামান্য পরিচর্যার মাধ্যমে।
কেননা ১২-১৬ বছর বয়সের মধ্যে মেয়েদের স্তনের বৃদ্ধি ঘটে। মেয়েদের স্তনের আকার বিভিন্ন হয়। এই স্তনের পরিচর্যা ঠিকমত না করলে শিথিল হয়ে ঝুলে পরতে পারে। কারো কারো শরীরের অনুপাতে বুক ছোট হয়, আবার কারো অল্প বয়সেই বুক বৃহদাকার হয়।
ছোট বুক যেমন কোন নারীর সৌন্দর্য বিকাশে সহায়ক হয়না, তেমনই শরীরের তুলনায় অনেক বড় বুক বড় বেমানান লাগে। এইসব কারণে হরেক রকমের পোশাক পরেও সৌন্দর্যময়ী নারীরূপে নিজেকে তুলে ধরতে পারে না। তাই স্তন সঠিক রাখতে ও সৌন্দর্য্যময় করে গড়ে তুলতে কিছু যত্নেরও প্রয়োজন আছে।
স্তন শিথিল হওয়ার কারণ: ১. খাদ্য গ্রহণের পরিমানের ঠিকমত অভাব, ২. নারীর ওজন কমে গেলে, ৩. অতিরিক্ত পরিশ্রম, ৪. বেশি শ্রমযুক্ত খেলাধুলা করলে অনেক সময় স্তনের ফ্যাটিটিস্যু কমে যায়, ৫. প্রতিদিন গরম জলে স্নান করলে, ৬. বেশি বয়স, ৭. হরমোন জনিত কারণ।
স্তন সংক্রান্ত যেসব ব্যাপারে ভয় পায় নারী: স্তন ও যোনি, এই দুটি শব্দ মুখে উচ্চারণ করে না নারী। বলার সময় অন্য নামে ডাকে। এতই রাখঢাক, এতই লজ্জা। এটাই তো শিখিয়েছেন মা, খালারা। তাই খুল্লামখুল্লা আলোচনা করার কথা সাহসেই কুলোয় না। মনে প্রশ্ন জাগলেও জিজ্ঞেস করে না। ফলে, ভ্রান্ত শঙ্কা, ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করেই বসে থাকে। মনে মনে সংঙ্কিত হলেও, কিচ্ছু করার নেই। তাই নিরূপায় নারীর স্তন সংক্রান্ত কিছু ভুল ধারণা জেনে নিন –
এক্সারসাইজ়ের পর ব্রেস্ট টনটন: রোজ জিমে যায় যে নারী, কসরতের পর তার দুটি স্তনে ব্যথা শুরু হতে পারে। এটা খুব স্বাভাবিক বিষয়। অনেকেই তাতে ঘাবড়ে যায়। ঘাবড়ানোর কিছু নেই। স্তন তৈরি হয়েছে সূক্ষ্ম টিশু দিয়ে। ফলে যন্ত্রণা হওয়াটাই স্বাভাবিক।
হঠাৎ করে স্তন ছোটো বা বড় হয়ে যাওয়া: ভয় পাওয়ার কিছু নেই। বুকের উপর এই মাংসপিণ্ড আসলে মেদ। শরীরে মেদ জমলে ব্রেস্ট বড় হয়। শরীর থেকে মেদ ঝরে গেলে ব্রেস্টও আকারে ছোটো হয়ে যায়। আকার সংক্রান্ত কোনও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন চোখে পড়লে, ওজন মাপিয়ে নিন।
স্তনবৃন্তে ছিদ্র: সন্তানকে দুধ না খাওয়ালেও স্তনবৃন্ত বা নিপল থেকে দুধ বেরোতে পারে। একেবারেই আতঙ্কিত হবেন না। অনেক সময় স্তনবৃন্ত খুব জোরে চিপলে দুধ বেরিয়ে আসতে পারে। কিন্তু দুধ বেরনো না থামলে বা একটি বৃন্ত থেকে যদি ক্রমাগত দুধ বা রক্ত বেরোতে থাকে, সময় নষ্ট করবেন না। ডাক্তারের কাছে চলে যান।
সাইজ়ে তারতম্য: ডানদিকের স্তনের চেয়ে বাঁদিকের স্তন বড় হয় এবং সেটাই স্বাভাবিক।
হট করে স্তন ঝুলে যাওয়া: পিরিয়ড চলাকালীন ব্রেস্ট ঝুলে যেতে পারে। সেই পরিবর্তন চোখে পড়লে চিন্তা করবেন না। এটা হওয়াই স্বাভাবিক। একই ভাবে পিরিয়ডের সময় ব্রেস্ট অনেক বেশি নরম হয়ে যায়।
ব্রেস্টে লোম: স্তনবৃন্তের আশপাশে বা স্তনের মাঝখানে লোম থাকে অনেকের। চিন্তার কোনও কারণ নেই। এটাও স্বাভাবিক ব্যাপার। কাঁচি দিয়ে কেটে দিলেই হবে।
সেক্সের সময় স্তনবৃন্ত বড় ও শক্ত হওয়া: একেবারে নর্মাল ব্যাপার। এর কারণ সেক্স করার সময় হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। স্তনের আকারও বাড়ে। সেইসঙ্গে বাড়ে বৃন্তের আকার।
হঠাৎ স্তন ব্যথা কেন হয়: হঠাৎ স্তন ব্যথা হওয়া মানেই যে সেটিকে মারণরোগ ক্যান্সারের উপসর্গ বলে ধরে নিতে হবে, তা কিন্তু নয়। স্তনে একাধিক কারণে ব্যথা হতে পারে। সব বয়সে নারীদের স্তন ব্যথার সমস্যা হতে পারে। তা হতে পারে ‘মেনোপজ’ শুরুর আগে ও পরে।
বিভিন্ন কারণে স্তন ব্যথা হয়। স্তন ব্যথার কিছু কারণ রয়েছে। স্তনের সিস্ট একধরনের নরম তরলসমৃদ্ধ থলি। সিস্ট সব আকারের হতে পরে। এতে অনেক সময় ব্যথা হয়, আবার অনেক সময় ব্যথা নাও হতে পারে। ঋতুস্রাবের চক্রের সময় সিস্ট বড় হয় এবং মেনোপজের সময় সাধারণত কমে যায়।
কিছু ওষুধ সেবনের কারণেও স্তনে ব্যথা হতে পারে। যেমন বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসার জন্য কিছু ওষুধ, মেনোপজের পর এস্ট্রোজেন ও প্রোজেসটেরনের ওষুধ, অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট, এনাড্রল ইত্যাদি ওষুধের কারণে অনেক সময় স্তনে ব্যথা হয়। সাধারণত প্রবীণ নারী এবং যারা সঠিক অঙ্গবিন্যাসে থাকেন না, তাদের এই ব্যথা হয়।
যেসব নারী প্রিমেনোপোজাল (মেনোপজের আগে) অবস্থায় থাকেন এবং যারা মেনোপজের পরে হরমোনের চিকিৎসা নেন, তাদের স্তনে অনেক সময় ফোলাভাব হতে পারে, লাম্প হতে পারে। এই অবস্থাকে ফাইব্রোসিস্টিক ব্রেস্ট চেঞ্জ বলে।
তবে এটি তেমন ক্ষতিকর নয়। সঠিক অন্তর্বাস ব্যবহার না করার কারণে অনেক সময় স্তনে ব্যথা হতে পারে। খুব আঁটসাঁট অথবা খুব ঢিলেঢালা অন্তর্বাস কোনোটাই স্তনের জন্য ভালো নয়। তাই সঠিক অন্তর্বাস ব্যবহার করুন। অধিকাংশ স্তন ক্যান্সারে ব্যথা হয় না। তবে প্রদাহকারী স্তন ক্যান্সার ও স্তনের টিউমার একধরনের অস্বস্তি তৈরি করতে পারে।
স্তনে লাম্প, অতিরিক্ত ব্যথা, বোঁটা থেকে রক্তপাত, লাল ভাব ইত্যাদি দেখলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। অনেক সময় যেসব মা বুকের দুধ খাওয়ান, তাদের ক্ষেত্রে স্তনে ব্যথা হতে পারে। অনেকক্ষণ শিশুকে বুকের দুধ না খাওয়ালে বা দুধ জমাট হয়ে থাকলে এ সমস্যা হতে পারে।
অনেক সময় স্তনে ঘা হয়ে থাকে যার কারণে স্তনে ব্যথা হয়ে থাকে। এবং এই সমস্যাটি হয়ে থাকে মূলত যখন স্তনের নিপলে ব্যাকটেরিয়ার দেখা দেয় এবং বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময় যখন ভাইরাস আক্রমন করে। এই ধরণের সমস্যায় অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত।
স্তন ভালো রাখবেন যেভাবে-
ম্যাসেজ: স্যাগিং আটকাতে নানা ধরনের ম্যাসেজ রয়েছে। অয়েল ম্যাসেজের মধ্যে পড়ে অলিভ অয়েল, কোকোনাট অয়েল, স্পিয়ারমিন্ট অয়েল ইত্যাদি। এছাড়া স্যাগিং প্রতিরোধে সবচেয়ে ভাল আইস ম্যাসেজ।
কয়েকটি আইস কিউব নিয়ে স্তনের চারপাশে বৃত্তাকার ভাবে ম্যাসেজ করুন অথবা একটি জিপলক ব্যাগে কুচো বরফ নিয়ে এইভাবে মাসাজ করুন। সপ্তাহে দুই তিনবার এই ম্যাসেজ করতে হবে। এতে স্তনের আশপাশের কোষে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে ও স্তনের শেপ সুন্দর রাখতে সাহায্য করে।
এছারা ঘৃতকুমারী ত্বক টান টান করে স্তনকে আবার উন্নত করে তুলতে খুবই কার্যকর। এর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান ভেতর থেকে আপনার স্তনকে সুন্দর করে তোলে। ঘৃতকুমারী থেকে ভেতরের জেল জাতীয় উপাদান বের করে নিন। এই জেল স্তনে ম্যাসাজ করে করে মাখুন ১০ মিনিট। এরপর আরও ১০ মিনিট স্তনে এই জেল রাখুন। তারপর সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ৪ থেকে ৫ বার করুন কাঙ্ক্ষিত ফল পেতে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন: দেহের একটি নির্দিষ্ট ওজন বজায় রাখুন। ক্রমাগত মোটা এবং রোগা হলে, ত্বকের ইলাস্টিসিটি কমে যায় এবং স্তন ঝুলে পড়ে।
প্রচুর পানি খান: ত্বকের ইলাস্টিসিটি বজায় রাখার প্রধান উপায় শরীরের প্রচুর পরিমাণ পানির সরবরাহ। প্রতিদিন অন্তত ৪ লিটার পানি খান। তার বেশি খেতে পারলে তো কথাই নেই। প্রচুর পানি ভীষণ জরুরী। শুধু স্তনের নয়, আপনার মুখেও বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করতে পানি পান অত্যন্ত জরুরী। আমাদের দেহের কোষের বেশিরভাগটাই পানি।
তাই শরীরে যখন পানির অভাব দেখা দেয়, খুব স্বাভাবিক ভাবে তখন ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে যায়। চামড়া ঝুলে যেতে থাকে, ত্বকে টোল পড়ে, সম্পূর্ণ ত্বকই মলিন-বিবর্ণ আর কুঁচকানো দেখায়। আর সবচাইতে বেশী এটা ভোগ করে আপনার মুখ ও স্তন।
খারাপ অন্তর্বাস ত্যাগ করুন: ব্রা-এর শেপ, ফিটিং এবং সাইজের উপরও নির্ভর করে স্যাগিং। দীর্ঘদিন ধরে ঠিক সাইজের ব্রা না পরলে, ফিটিংস আলগা হলে বা কাপ সাইজ ঠিকঠাক না হলে স্যাগিং হয়। তাই অন্তর্বাস কেনার সময় সতর্ক থাকুন। ভাল ব্র্যান্ডের প্যাডেড ব্রা পরা ভাল আর যাঁদের ইতিমধ্যেই স্যাগিং হওয়া শুরু হয়েছে তাঁদের আন্ডারওয়্যার ব্রা পরা উচিত। ভালো ব্র্যান্ডের প্যাডেড ব্রা পরলে শরীর ও ব্রেস্ট দুই ভাল থাকে।
কিছু বিশেষ খাবার খান: শরীরে প্রোটিনের পরিমাণ কম থাকলে বুকের চারপাশের মাংসপেশিগুলি আলগা হতে থাকে। তাই রোজ অন্তত ১০০ গ্রাম প্রোটিন খেতে হবে। কোনও বিশেষ রোগ থাকলে, কী ধরনের প্রোটিন খাবেন, তা নিয়ে ডায়টিশিয়ানের পরামর্শ নিন। দ্রুত ওজন কমিয়ে ফেললে যেমন স্তনের শেপ নষ্ট হয়ে স্তন ঝুলে যায়, তেমনই কিছু বিশেষ খাবার অর্থাৎ পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবে স্তন ঝুলে যেতে পারে। প্রতিদিন অল্প কিছু ব্যায়াম করার পাশাপাশি অবশ্যই একটি ব্যালান্সড ডায়েট মেনে চলবেন।
নিজের খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন রাখবেন ভালো পরিমাণে চর্বিহীন প্রোটিন, ভিটামিন ও, ভিটামিন ই মিনারেলস সমৃদ্ধ শাকসবজি, অল্প কার্বোহাইড্রেট ইত্যাদি। এবং কিছু খাবার আছে, যেগুলো প্রতিদিন খাবেন। যেমন- টমেটো, পেঁয়াজ, গাজর, ব্রকলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, রসুন ইত্যাদি।
ব্রেস্ট ফার্মিং এক্সারসাইজ করুন: বেশ কিছু সাধারণ এক্সারসাইজ রয়েছে যা নিয়মিত করলে স্যাগিং প্রতিরোধ করা সম্ভব। সবচেয়ে সহজ হল পুশ-আপ। তা ছাড়া রয়েছে চেস্ট প্রেস, ডাম্বল ফ্লাইস, টি-প্লাঙ্কস, এলবো স্কুইজ ইত্যাদি। প্রত্যেকটিই প্রতিদিন আট-দশবার করলেই যথেষ্ট। আর যদি ডাম্বেল না থাকে, তবে অন্য কোনও ভারি জিনিস নিয়ে করতে পারেন এক্সারসাইজ।
ধূমপান ত্যাগ করুন: ধূমপানের ফলে স্তন ঝুলে যায় এটা অনেকেই জানেন না। মহিলাদের ধূমপান করতে বারণ করার পিছনে এ ও একটি বড় কারণ। তা ছাড়া অতিরিক্ত সান-ট্যানিং করলেও স্যাগিং হয়।
ব্রেস্ট মাস্ক করুন: ফেসিয়াল করার মতোই হল এই মাস্ক যা সপ্তাহে একবার করা উচিত স্যাগিং রোধে। ১ টেবিল চামচ টক দই, ১ টেবিল চামচ ভিটামিন-ই অয়েল এবং ১টি ডিম ফেটিয়ে একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি স্তন এবং স্তনের চারপাশে মাখিয়ে আধ ঘণ্টা রেখে দিন। তার পর ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিন।
দীর্ঘক্ষণ ব্রা পড়বেন না: ফ্রান্সের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জাঁ-ডেনিস রইলো ১৮ থেকে ৩৫, বিভিন্ন বয়সের প্রায় ৩০০ জন মহিলার স্তন নিয়ে গবেষণা করেছেন। তাঁর বক্তব্য, দীর্ঘক্ষণ ব্রা পরে থাকলে মহিলাদের শারীরিক ক্ষতিই হয়। তাঁর গবেষণা বলছে, যে সব মহিলারা দীর্ঘ কয়েক বছর ব্রা না পরে থেকেছেন, তাঁদের স্তনবৃন্ত উন্নত হয়েছে। কিন্তু পাশাপাশি এ ও বলেছেন যে, তাই বলে ব্রা পরা একেবারেই ত্যাগ করা যায় না।
ম্যামোগ্রাম: একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর স্তন সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ডাক্তারের সাথে কথা বলে বার্ষিক স্তন পরীক্ষা বা ম্যামোগ্রাম করান যাতে কোনো রোগ থাকলে তা শনাক্ত করা যায় দ্রুত। তবে পারিবারিক ইতিহাস না থাকলে ম্যামোগ্রাম না করিয়ে সাধারণ ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে পারেন। বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্তন ক্যান্সার এর ঝুঁকি বাড়ে, পশ্চিমা বিশ্বে সাধারণত ৫০ বছর বয়সের পর ঝুঁকি বেশি বাড়ে। তবে অজানা কারণে আমাদের দেশে চল্লিশ এর পরই বেশি দেখা যায়। বিআরসিএ-১ ও ২ জিনের অস্বাভাবিক মিউটেশন ৫ থেকে ১০ শতাংশ দায়ী স্তন ক্যান্সার এর জন্য। কারো পরিবারের কোন নিকটাত্মীয় যেমন মা, খালা, বড় বোন বা মেয়ে স্তন ক্যান্সার এ আক্রান্ত হয়ে থাকলে তার স্তন ক্যান্সার এর ঝুঁকি বেশি থাকে।
স্তন ক্যান্সার এর লক্ষণ হিসাবে সাধারণত যা দেখা যায় –
১. স্তনে চাকা বা পিণ্ড, ২. নিপল বা বোঁটা ভেতরে ঢুকে যাওয়া, অসমান বা বাঁকা হয়ে যাওয়া, ৩. নিপল দিয়ে অস্বাভাবিক রস বা রক্তক্ষরণ হওয়া, ৪. চামড়ার রং বা চেহারার পরিবর্তন, ৫. বগলতায় পিণ্ড বা চাকা।
প্রাথমিক পর্যায় এ ধরা পরলে স্তন ক্যান্সার নিরাময়ের সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ। যেসব মহিলার বয়স ২০ থেকে ৩০ তারা প্রতিমাসে মাসিক শেষ হওয়ার পর নিজেই তার নিজের স্তন পরীক্ষা করবেন। যাদের বয়স ৩০ থেকে ৩৯ বছর তারা প্রতি ৩ বছর পরপর চিকিৎসক দ্বারা স্তন পরীক্ষা করাবেন।
থাকুন কেমিক্যাল থেকে দূরে: ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট এবং এনহান্সিং কেমিক্যালগুলো আপনার সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্যই ভীষণ ঝুকিপুর্ণ। এগুলো থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকুন।
ব্রেস্ট ফিডিং করান: আপনি মা হয়ে থাকলে অবশ্যই বাচ্চাকে সঠিক উপায়ে ব্রেস্ট ফিডিং করান। তা আপনার স্তনের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করবে।