বুকের কফে চিকিৎসা করা না গেলে এটি দ্বারা শ্বাসযন্ত্র আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগে ঘরোয়া কিছু উপায়ে এই সর্দি, কফ দূর করতে পারেন। আজ তাহলে এমন কিছু ঘরোয়া উপায়ের সাথে পরিচিত হওয়া যাক
১। লবণ পানি
বুকের সর্দি, কফ দূর করতে সহজ এবং সস্তা উপায় হল লবণ পানি। লবণ শ্বাসযন্ত্র থেকে কফ দূর করে দেয়।
এক গ্লাস কুসুম গরম পানির সাথে এক চা চামচ লবণ মিশিয়ে নিন। এটি দিয়ে দিনে দুই তিনবার কুলকুচি করুন।
২। হলুদ
হলুদে থাকা কারকুমিন উপাদান বুক থেকে কফ, শ্লেষ্মা দূর করে বুকে ব্যথা দ্রুত কমিয়ে দেয়। এর অ্যান্টি ইনফ্লামেনটরি উপাদান গলা ব্যথা, বুকে ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।
এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক চিমটি হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এটি দিয়ে প্রতিদিন কুলকুচি করুন।
এছাড়া এক গ্লাস দুধে আধা চা চামচ হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে জ্বাল দিন। এর সাথে দুই চা চামচ মধু এবং এক চিমটি গোল মরিচের গুঁড়ো মেশান। এই দুধ দিনে দুই থেকে তিনবার পান করুন।
৩। লেবু এবং মধু
লেবু পানিতে এক চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। মধু শ্বাসযন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে। এমনকি এটি বুক থেকে কফ দূর করে গলা পরিষ্কার করে থাকে।
৪। আদা
এক টেবিল চামচ আদা কুচি এক পানিতে মেশান। এবার এটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ৫ মিনিট জ্বাল দিন। বলক আসলে এতে সামান্য মধু দিয়ে দিন। দিনে তিনবার এই পানীয়টি পান করুন।
এছাড়া এক চা চামচ আদা কুচি, গোল মরিচের গুঁড়ো, এবং লবঙ্গের গুঁড়ো দুধ অথবা মধুর সাথে মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি দিনে তিনবার পান করুন। আপনি চাইলে এক টুকরো আদা নিয়ে মুখে চাবাতে পারেন। আদার রস বুকের কফ পরিষ্কার করতে সাহায্য করবে।
৫। পেঁয়াজ
সম পরিমাণের পেঁয়াজের রস, লেবুর রস, মধু এবং পানি একসাথে মিশিয়ে চুলায় জ্বাল দিন। কিছুটা গরম হলে নামিয়ে ফেলুন। কুসুম গরম এই পানি দিনে তিন থেকে চারবার পান করুন। এছাড়া পেঁয়াজের ছোট টুকরো খেতে পারেন।
৬। অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার
এক কাপ কুসুম গরম পানিতে দুই চা চামচ বিশুদ্ধ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এর সাথে এক চা চামচ মধু মেশান। এইবার এই পানীয়টি দিনে দুই তিনবার পান করুন। এক দুই সপ্তাহ পান করুন। দেখবেন বুকের কফ অনেক কমে গেছে।
হার্ট অ্যাটাকের আগেই যে সংকেত দেয় হৃদপিণ্ড, জেনে নিয়ে সাবধান হোন !
বিশ্বজুড়ে দূষণের মাত্রা যত বাড়ছে, ততই বাড়ছে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা। একই সঙ্গে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতাও দিনে দিনে বেড়ে চলেছে। অনেক কম বয়সীদেরও হার্টের অসুখে ভুগতে দেখা যায়।
একইসঙ্গে হার্টের সমস্যা। আর এ নিয়ে চলছে নানারকম গবেষণা। এক গবেষণায় জানানো হয়েছে, হার্ট অ্যাটাকের আগ থেকেই শরীরকে ক্রমাগত সংকেত দেয় হৃদপিণ্ড।
এক্ষেত্রে ৬টি তথ্যও দিয়েছেন গবেষকরা।
১. ঝিমুনির ভাব হবে। একই সঙ্গে রক্তের প্রবাহ কমে যাওয়ায় শরীরে একটা শীতল ভাবও অনুভূত হবে।
২. শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। ধমনীতে রক্তের প্রবাহ কমে যায় বলেই এমনটা হয়।
৩. হার্ট অ্যাটাক আসার প্রায় এক মাস আগে থেকেই বুকে ব্যথা অনুভূত হতে থাকবে। এই ব্যথা বুকে থেকে শরীরের অন্য অংশেও ছড়িয়ে পড়বে। বিশেষ করে পিঠ, হাত ও কাঁধে ছড়িয়ে বড়বে ব্যথা।
৪. হার্ট অ্যাটাক আসার আগে কিছুদিন আগে থেকেই ঠাণ্ডা লাগার সমস্যা বেড়ে যায়।
৫. কম-বেশি কাজেই দমের সমস্যা দেখা দেয়। যে কোনো কাজ করলেই শ্বাস নিতে সমস্যা হয়।
৬. সামান্য পরিশ্রমেই ক্লান্তিভাব হয়। আচমকা মাথাঘুরে পড়েও যেতে পারেন।
৮ টি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত লিভারের লক্ষন যা আপনি সহজে বুঝতে পারেন না, (৩নাম্বার টি ভয়ঙ্কর)
মানব দেহের বৃহত্তম অঙ্গ, যকৃত যা পেটের উপরের অংশে অবস্থিত। এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, এটি বেশ কয়েকটি বিশিষ্ট কাজ সম্পাদন করে। অতএব, লিভারের যত্ন নেওয়া এবং ক্ষতিগ্রস্ত হতে রক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি লিভারের ক্ষতির এইসব লক্ষণগুলি খুঁজে পান, তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ।
১। পেটের ব্যাধি! হজম প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন লিভার ক্ষতির লক্ষণও হতে পারে। যদি এটি কয়েক দিন ধরে চলতে থাকে, তাহলে ডাক্তারের সাথে দেখা করা ভাল। গর্ভাবস্থার প্রাথমিক পর্যায়ে মদ্যপান, বিষণ্ণতা ও খাদ্যে বিষক্রিয়া লিভারের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
২। অবসাদ। ক্লান্ত এবং আলসতা অনুভূতি লিভার ক্ষতির সাধারণ লক্ষণ। আপনি যদি ঘন ঘন ক্লান্তি অনুভব করেন, তাহলে আপনি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
৩। ক্ষুধা হ্রাস। যদি আপনি দেখেন যে আপনার ওজন হঠাৎ কমে গেছে, তবে এটি উপেক্ষা করবেন না কারণ এটি একটি সংকেত হতে পারে যা আপনার যকৃতের সাথে কিছু ভালো নাও হতে পারে । এছাড়াও, ক্ষুধা হ্রাস লিভার ক্ষতি আরেকটি উপসর্গ। এটি কয়েক দিন চলতে থাকলে, আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৪। হজমের সমস্যা। একটি ক্ষতিগ্রস্ত যকৃতের জন্যে কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া হতে পারে, অ্যালকোহল পান করলে যকৃতে অনেক হজমের সমস্যা হতে পারে।
৫। প্রচুর পরিমাণে জল পান করার পরেও, আপনার প্রস্রাবের রং গাঢ় হলে এটি লিভার ক্ষতির চিহ্ন। তাই যদি দেখেন এইরকম হচ্ছে, খুব তাড়াতাড়ি আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন, ফেলে রাখবেন না এটা।
৬। যদি আপনার মলের রঙ বাদামী থেকে পরিবর্তিত হয়ে হলুদ বা ধূসর হয়ে যায়, তবে এটি লিভার ক্ষতির একটি লক্ষণ। সকালে গিয়ে দেখেন যে আপনার মলের রং পরিবতন হয়েছে তবে এটা লিভারের ক্ষতির লক্ষণ, এটা ফেলে রাখবেন না ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
৭। জন্ডিস এছাড়াও অগ্ন্যাশয় বা পিত্তকোষের মধ্যে ব্যাধি লিভার ক্ষতির একটি কারন হতে পারে। এটা খুবই বিপদজনক। তাই এটা একদমই ফেলে রাখা উচিত না। যতো তাড়াতাড়ি পারেন কোন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে রোগ নিরাময় করুন।
৮। যখন লিভারে সমস্যা হয়, তখন আপনার নিম্ন পেটে পক্ষাঘাত হতে পারে। এটি লিভার ক্ষতির সবচেয়ে বড় কারণ, এর থেকে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। সুস্থ থাকুন ও সবাই কে সুস্থ রাখুন।