ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামের ইউসুফ মিয়ার স্ত্রী তাছলিমা বেগম পরকীয়য়ার জেরে পুত্র সন্তান জন্ম দেয়ার পরপরই লবণ খাইয়ে হত্যা করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তাছলিমার পিতা ওসমান মিয়াকে হত্যাকান্ডে সাহায্য করার অপরাধে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তাছলিমার স্বামী ৫ বছর যাবত সৌদি প্রবাসী। তাদের সংসারে ৩ বছর বয়সী এক পুত্র সন্তান রয়েছে। প্রতিবেশী এক যুবকের সাথে তছলিমার পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে। কিছুদিন আগে তছলিমার স্বামী প্রবাস হতে বাঞ্ছারামপুরস্থ গ্রামের বাড়িতে আসে। আসার ৪ দিন পরই তছলিমার প্রসব ব্যথা ওঠে। চলে যায় পিতার বাড়ি উপজেলার মধ্যনগরে।সেখানে অবৈধ প্রেমের ফসল ছেলে শিশু জন্মানোর পর তাকে গত ২২ নভেম্বর লবণ খাইয়ে হত্যা করে গর্তে পুতে রাখে।
সেখান থেকে দূর্গন্ধ ছড়ালে বিষয়টি এলাকাবাসীর সহায়তায় পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ বুধবার (১২ ডিসেম্বর) শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে।
মডেল থানার পুলিশের উপপরিদর্শক মো. মাইনুদ্দিন জানান, আমরা মৃত শিশুটিকে উদ্ধার করে কবরস্থ করেছি। এ ঘটনায় ৩ জনকে আসামী করে মামলা দায়েরের পর তছলিমার পিতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
এদিকে, তাছলিমাকে নিয়ে তার স্বামী আর সংসার করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তাছলিমা বেগম ও তার মা পলাতক।