উচ্চ রক্তচাপ এক বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওষুধের মাধ্যমে একে নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। কিন্তু স্বাস্থ্যকর খাবার আর জীবনযাপনের মাধ্যমে সুস্থ থাকাটাই উত্তম। বিশেষজ্ঞদের মতে, কয়েকটি পানীয় আছে, যা রক্তচাপ বাড়তে দেয় না। এগুলো অবশ্যই পুষ্টিকর। কাজেই নিয়মিতভাবে কিছুদিন খেয়ে দেখতে পারেন—
অ্যাপল সিডার ভিনেগার
স্বাস্থ্যসচেতনদের মাঝে সবচেয়ে প্রিয় ভিনেগার এটি। অ্যাপল সিডার ভিনেগারের উপকারিতার শেষ নেই। পটাসিয়ামে ভরপুর। এটি দেহ থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম এবং বিষাক্ত উপাদান বের করে দেয়। এক গ্লাস পানিতে দুই-তিন টেবিল চামচ ভিনেগারের সঙ্গে মধু মিলিয়েও খেতে পারেন প্রতিদিন। সকাল সকাল খাবেন, দেখবেন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধের প্রয়োজনীয়তা কমে আসবে।
লেবুপানি
স্বাস্থ্যবিশারদদের মতে, ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস লেবুপানি খেয়ে দিন শুরু করলে সারা দিন কোনো সমস্যা দেখা দেবে না। দেহের কোষগুলোকে পরিষ্কার করে এই পানীয়। আবার রক্তবাহী নালিগুলোকে মশৃণ এবং কোমল করে বলেও মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞ। এর ভিটামিন ‘সি’ বেশ শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি রক্তচাপের মাত্রা কমিয়ে আনতে খুবই সহায়ক।
মেথিপানি
আরেকটি জাদুকরী পানীয়। মেথি ভেজানো পানিতে উচ্চমাত্রায় ফাইবার মেলে। রক্তচাপ ওপরের দিকে উঠতে দেয় না। সকালে খালি পেটে এক গ্লাস মেথিপানি খেতে পারলে খুব দ্রুত সুফল পাবেন। আগের দিন রাতে এক গ্লাস পানিতে দুই চা চামচ মেথি ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠেই গিলে ফেলবেন।
তকমার পানি
এটি আমাদের দেশে বেশ পরিচিত পানীয়। তকমার শরবত হিসেবে রাস্তাঘাটে বিক্রি হয়। এতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড রয়েছে। রক্তের ঘনত্ব স্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রাখে। সেই সঙ্গে চাপও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক। এক গ্লাস পানিতে এক-দুই চা চামচ তকমা ঘণ্টাখানিক ভিজিয়ে রাখলেই হবে।
ফ্যাটবিহীন দুধ
দেহের অতি প্রয়োজনীয় উপাদান পটাসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম সরবরাহ করে দুধ। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ফ্যাটবিহীন দুধ খুবই কাজের। ফ্যাটযুক্ত দুধে বেশ ভালো পরিমাণ পালমিটিক এসিড রয়েছে। এটি রক্তবাহী নালির সঙ্গে মস্তিষ্কের যোগাযোগ ব্যাহত করে। ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায়।
আরেকটা মজার রেসিপি
এক গ্লাস ফ্যাটবিহীন দুধ, কয়েকটি পুদিনাপাতা, বীজ ছাড়ানো চার-পাঁচটি আমলকী এবং সামান্য পানি। এগুলো একযোগে ব্লেন্ড করুন। এটি খেতে মজা। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ কার্যকর।