সাধারণত শেষ মাসিক আবর্তনের ১২ মাস পরের সময়কে মেনোপজ বলে। তখন মাসিক স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায় ও গর্ভধারণ হয় না। সাথারণত ৪৫-৫৫ বছর বয়সের মধ্যে মেনোপজ শুরু হয়।
হরমোনের পরিবর্তনের কারণে সাধারণত মেনোপজ হয়। এ সময় বেশ কিছু লক্ষণ দেখা যায়। যেমন: অনিয়মিত মাসিক, অনুর্বরতা, যোনিপথ শুষ্ক থাকা, অতিরিক্ত গরম লাগা (হট ফ্লাস), অনিদ্রা বা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটা, মেজাজ ওঠা-নামা করা (মুড সু্ইং), মেদ বৃদ্ধি পাওয়া, চুল পাতলা হওয়া ইত্যাদি।
মেনোপজের জন্য কোনো চিকিত্সার প্রয়োজন হয় না। এ সময় নিয়মিত ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম শরীর সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। অতিরিক্ত গরম যাতে না লাগে এমন কিছু করা যাবে না। মেডিটেশনে এ সময় অনেক উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া শাক-সবজি, ফল-মূল, ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার ও পর্যাপ্ত পানি গ্রহণ করতে হবে। এ সময় অনেকে বিষণ্নতায় ভুগেন।
তাই নিজেকে সব সময় বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত রাখতে হবে। বই পড়া, সেলাই করা, ঘুরতে যাওয়া— এ সব বিষণ্নতা কাটাতে সাহায্য করে। তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে দীর্ঘ মেয়াদি সমস্যা দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিত্সা নিতে হবে। লেখক: ত্বক, লেজার এন্ড এসথেটিক বিশেষজ্ঞ।