সেদ্ধ ডিমের যে- ডিমকে বলা হয় ‘সুপারফুড’। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেলস। প্রোটিনের সবচেয়ে ভালো উৎস হচ্ছে ডিম। এতে ক্যালোরিও বেশ কম থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ২টি করে ডিম খাওয়া উচিত। আর সকালের নাস্তায় একটি সেদ্ধ ডিম সারাদিন শরীরকে রাখে চাঙ্গা। তবে আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই, প্রতিদিন সকালের নাস্তায় সেদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতাগুলো সম্পর্কে।
শক্তি যোগায়: একটি বড় সেদ্ধ ডিমে প্রায় ৮০ ক্যালোরী আছে। এর মধ্যে ৬০% ক্যালোরী আসে চর্বি থেকে। ফলে সকালের নাস্তায় একটি মাত্র সেদ্ধ ডিম খেলে সারাদিন শক্তি পাওয়া যায় এবং দূর্বলতা হ্রাস পায়।
হাড় গঠন: সেদ্ধ ডিমে আছে ভিটামিন ডি যা হাড় ও দাঁত শক্ত করে। ভিটামিন ডি খাবার থেকে ক্যালসিয়াম গ্রহণ করতে সহায়তা করে এবং রক্তের ক্যালসিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে শরীরের হাড়ের কাঠামো মজবুত ও শক্ত হয় এবং হাড়ের ক্ষয় রোধ হয়। প্রতিদিন সকালের নাস্তায় একটি সেদ্ধ ডিম খেলে ৪৫ আন্তর্জাতিক ইউনিট ভিটামিন ডি পাওয়া যায় যা হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে।
প্রোটিন: সেদ্ধ ডিমে প্রাকৃতিকভাবেই প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আছে। সকাল বেলা নাস্তায় একটি সেদ্ধ ডিম খেলে ৬ গ্রামের বেশি প্রোটিন পাওয়া যায়।
চোখের স্বাস্থ্য: ডিমের একটি প্রধান খাদ্য উপাদান হলো ভিটামিন এ। ভিটামিন এ রেটিনায় আলো শুষে নিতে সহায়তা করে, কর্নিয়ার পাশের মেমব্রেনকে রক্ষা করে এবং রাতকানার ঝুঁকি কমায়। প্রতিদিন সকালে একটি সেদ্ধ ডিম খেলে খাবার তালিকায় ৭৫ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন এ যুক্ত হয়।
দেহের ওজন নিয়ন্ত্রন করে: আমাদের দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে ডিমের উপকারিতা অনেক। যারা পেশির ওজন বৃদ্ধি করতে চান তাদের জন্য প্রোটিন সমৃদ্ধ ডিম উপযুক্ত। গবেষণায় দেখা গেছে, ডিম আমাদের দেহে ঘন ঘন ক্ষুধা লাগাকে কমিয়ে দিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই সকালের নাস্তায় একটি সেদ্ধ ডিম বেশ উপকারী।
মস্তিষ্কের জন্য উপকারি: ডিমে আছে প্রচুর পরিমানে কলিন যা নিউরোট্র্রান্সমিটার হিসেবে কাজ করে আমাদের দেহকে সুস্থ রাখে। ডিম আমাদের মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে থাকে। তাছাড়া ডিমের কুসুমে আছে ফলেট উপাদান যা আমাদের মস্তিষ্কের ভিতরে স্নায়ু কোষের রক্ষণাবেক্ষণ করে।
নখ ও চুলের স্বাস্থ্য উন্নত কর: ডিমে আছে সালফার সমৃদ্ধ অ্যামিনো অ্যাসিড যা আমাদের হাতের নখের স্বাস্থ্যই শুধু উন্নত করেনা আমাদের চুলের স্বাস্থ্য মজবুত করে ও আকর্ষণীয় করে তুলে। ডিমের অন্যান্য খনিজ পদার্থ সেলেনিয়াম, আয়রন ও জিঙ্ক দেহের নখ ও চুলের স্বাস্থ্য রক্ষার্থে সহযোগীতা করে।