মিনিটে কত বার- আপনার হৃদ-স্পন্দন যদি প্রতি মিনিটে ১২৫ বার হয় এবং এ অবস্থা যদি কোনো কারণ ছাড়া এক মিনিটের বেশি চলতে থাকে- তবে দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত। সে ক্ষেত্রে ধরে নিতে হবে হৃদযন্ত্রে কোনো সমস্যা আছে।
ব্যায়ামের সময়, উদ্বেগের কারণে, উত্তেজিত হলে বা ভয় পেলে মানুষের হৃদ-স্পন্দনের গতি বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু, এ ধরনের কোনো কারণ ছাড়াই যদি হৃদ-স্পন্দনের গতি বাড়তে থাকে তা হলে কি হবে? সে ক্ষেত্রে ধরে নিতে হবে, হৃদপিণ্ডের রক্তবাহী নালীর কোথাও ‘ব্লক’ দেখা দিয়েছে বা হৃদপিণ্ডের বৈদ্যুতিক ব্যবস্থায় সংকট দেখা দিয়েছে।
এ ছাড়া অন্যান্য কারণও থাকতে পারে। স্বাভাবিক চাপ দিয়ে যখন হৃদযন্ত্র রক্ত সরবরাহের কাজ ঠিকমতো চালাতে পারে না তখন বাড়তি চেষ্টা করে। আর তাতেই বেড়ে যায় হৃদপিণ্ডের গতি।
অবশ্য, হরমোনজনিত সমস্যা অর্থাৎ থাইরয়েডের কোনো অসুখ বা রক্তহীনতার কারণেও এমনটি হতে পারে।
হৃদপিণ্ডের রক্তবাহী নালীতে যদি ‘ব্লক’ থাকে সেক্ষেত্রে অক্সিজেনসমৃদ্ধ রক্ত সঠিকভাবে হৃদপিণ্ডের ওই অংশে যাচ্ছে না। এর পরিণামে ‘হার্ট অ্যাটাকের’ মতো ঘটনা ঘটতে পারে। সঠিক চিকিৎসা না হলে এ ধরনের পরিস্থিতি প্রাণঘাতী পরিণাম ডেকে আনতে পারে। অবশ্য, এ ধরনের সমস্যা নানা কারণেই হতে পারে এবং এর সবগুলোতেই যে বিপদ ডেকে আনবে এমনও কোনো কথা নেই।
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন, কয়েক মিনিট স্থায়ী অতিরিক্ত হৃদ-স্পন্দনের ঘটনাকে গুরুত্ব না দিয়ে অনেকেই ডাক্তারের কাছে যেতে যান না। কিন্তু, এ ধরনের ঘটনার জন্য দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত বলে পরামর্শ দিয়েছেন তারা। যদি অতিরিক্ত হৃদ-স্পন্দনের কারণে রোগী জ্ঞান হারায় তবে দেরি না করে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
মোট কথা, অতিরিক্ত হৃদ-স্পন্দন হলে অবশ্যই দ্রুত ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।