লেবুর রসের স্বাস্থ্য উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ, জানলে অবাক হবেন

লেবুর রসের স্বাস্থ্য- আমাদের দেশে যে ধরনের লেবু পাওয়া যায় তার মধ্যে পাতিলেবু, বাতাবিলেবু, কাগজিলেবু উল্লেখযোগ্য। লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি আছে। এছাড়াও রয়েছে ফ্ল্যাভনয়েডস ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন-বি, ফলিক এসিড, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ফসফরাস। বিভিন্ন দেশে সালাদ, জুস, রান্না, রুপচর্চা এবং চিকিৎসা সহ নানা কাজে লেবু ব্যবহার হয়। লেবুর রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ।

সারাদিনে আমরা পানি খেতে ভুলে গেলেও, চা-কফি খেতে মোটেই ভুলি না। কিন্তু সারাদিন আমাদের প্রচুর পরিমান পানি খাওয়া উচিৎ। পানি কম খেলেই আমাদের শরীর অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। অনেক মানুষ আছেন যারা পানি খেতে একেবারেই পছন্দ করেন না। তারা পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে পানি খাওয়ার পাশাপাশি শরীরের অনেক উপকারও হবে।

নিচে লেবুর রসের উপকারিতা বা গুণ নিয়ে আলোচনা করা হলো। যা আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। একটা সমস্যা প্রায় আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই দেখা যায়। তা হল হজমের গোলমাল। সে ক্ষেত্রে গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। লেবুর রস রক্ত পরিশুদ্ধ করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, শরীর থেকে টক্সিন দূর করে, বদহজম কমাতে সাহায্য করে।

বাজার চলতি বিভিন্ন প্রসাধনী দ্রব্য উজ্জ্বল ত্বকের প্রতিশ্রুতি দেয় কিন্তু তা কখনওই স্থায়ী হয় না। সাময়িকভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়লেও সেই প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহার বন্ধ করে দিলেই ত্বক আবার আগের মতো হয়ে যায়। পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খান, এতে যেমন আপনার ত্বক সুস্থ থাকবে তেমনই ত্বকের উজ্জ্বলতাও বাড়বে। শুধু তাই নয়, লেবুর পানি ত্বকে বয়সের ছাপ, ব্ল্যাকহেডস, রিঙ্কেল প্রতিরোধ করে এবং ত্বককে ঠাণ্ডা রাখতেও সাহায্য করে। নিয়মিত লেবুর রস মেশানো পানি খেলে কফ, সর্দি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়া যাদের হাঁপানির সমস্যা রয়েছে, তাদের শ্বাস-প্রশ্বাস সঠিকভাবে চালাতেও সাহায্য করে।

যাদের উচ্চরক্তচাপ রয়েছে, তাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে লেবুর রস। লেবুর রস মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে, মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করতে এবং দাঁতের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে। গলার সংক্রমণ রোধ করে লেবুর রস। গলায় বেশি সংক্রমণ হলে, আদা এবং লেবুর রস মেশানো পানি খেলে তা কমে যায়। লেবুর রসে কোনও রকম ক্যালোরি নেই। এটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস রয়েছে যা আমাদের ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। ডিপ্রেশন এবং স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।