আবারো সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহত

বিমানবন্দর সড়কে দুই শিক্ষার্থীকে পিষে মারার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের কুমিল্লা-চট্টগ্রাম হাইওয়ের ইলিয়টগঞ্জ এলাকায় আবারও ঝরে গেল আরেক স্কুলছাত্রীর প্রাণ। এসময় আহত হয়েছেন আরও দুই শিক্ষার্থী। তাৎক্ষণিক আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা যায়। মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১টার দিকে কুমিল্লা-চট্টগ্রাম হাইওয়ের ইলিয়টগঞ্জ এলাকায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চান্দিনা থানার ওসি শামসুল ইসলাম বলেন, দুপুরে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকের চাপায় এক স্কুলছাত্রী নিহত হয়। তবে আরও দুইজন গুরুতর আহত হয়েছে।

নিহত ছাত্রীর নাম আকলিমা। তিনি গোমতা ইসহাকিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। আহত দু’জন ওই স্কুলের একই শ্রেণির ছাত্র মেহেদী ও ছাত্রী তামান্না।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গোমতা ইসহাকিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীরা স্কুল ছুটির পর রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে বাড়ি যাচ্ছিলেন। এ সময় বালুবাহী একটি ট্রাক ওই শিক্ষার্থীদের চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ওই স্কুলের তিন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়। তাদের হাসপাতালে নেওয়া হলে দশম শ্রেণির ছাত্রী আকলিমা মারা যায়। মেহেদী ও তামান্নাকে হাতপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা স্কুল থেকে বের হয়ে চালককে গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবরোধ করে। প্রায় এক ঘণ্টা পর প্রশাসনের হস্তক্ষেপে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক থেকে সরে যায়।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জাবালে নূর নামে একটি বাসের চাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ১২ শিক্ষার্থী। তাদের একজন দিয়া খানম ওরফে মিম ও অপরজন আব্দুল করিম। কলেজের মানবিক শাখার দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়তেন আবদুল করিম এবং একাদশ শ্রেণিতে দিয়া।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে ফ্লাইওভার থেকে নামার পর উত্তরাগামী আরেকটি বাসের সাথে প্রতিযোগিতায় পাল্লা দেয় জাবালে নূর বাসটি। এ সময় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল কয়েকজন শিক্ষার্থীরা। বেপরোয়া গতির কারণে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর তুলে দেন চালক।