কিডনীর অসুখ হচ্ছে নীরব ঘাতক। চুপিসারে এই রোগ শরীরে বাসা বাধলেও এমন এক সময়ে ধরা পড়ে তখন আর কিছুই করার থাকে না। অধিকাংশ মানুষ জনেইনা তারা কিডনী সমস্যায় ভুগছেন। তাই কিডনীর অসুখের সাধারন লক্ষণগুলো যদি জানা থাকে তবে একটু হলেও সতর্ক হওয়া যাবে।
নিচে কিডনীর সাধারন লক্ষণগুলো দেওয়া হল –
প্রস্রাবের সমস্যাঃ
প্রস্রাব কম হওয়া। রাতে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া। সাধারনত কিডনীর ফিল্টার নষ্ট হয়ে গেলে এ রকম হয়।
চোখের চারিপাশ ফুলে যাওয়াঃ
যখন কিডনী থেকে বেশি পরিমান প্রোটিন প্রস্রাবের সাথে বের হয়ে যায় তখন চোখের জারিপাশ ফুলে যায়।
প্রস্রাবে রক্ত যাওয়াঃ
সুস্থ কিডনী সাধারনত শরীরের ভীতরে রক্তে থাকা বর্জ্য প্রস্রাবের সাথে বের করে দেয়। কিডনী ক্ষতিগ্রস্থ হলে প্রস্রাবের ব্লাড সেল বের হয়ে যায়। সাধারনত কিডনীতে পাথর ও কিডনীতে ইনফেকশন হলে এই সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া প্রস্রাবে সাথে অনেক বেশি ফেনা হলে আশংকা থেকে যায়।
বেশি ক্লান্ত অনুভব হওয়াঃ
কিডনীর কার্যকারিতা কমে গেলে রক্তে দূষিত পদার্থ উৎপন্ন হয়। যার কারনে ক্লান্ত ও দূর্বল অনুভব হয়।
পায়ের গোড়ালি বা পায়ের পাতা ফুলে যাওয়াঃ
হঠাৎ করে পায়ের পাতা এবং গোড়ালী ফুলে যাওয়া। কিডনীর কার্যকারিতা কমে গেলে দেহে সোডিয়ামের পরিমান কমে যায়। ফলে এই সমস্যা হয়।
খাবারে অরুচিঃ
খাবারে অরুচি, বমি বমি ভাব লাগাকে অবহেলা করা যাবেনা।
মাংসপেশিতে টানঃ
কিডনীতে ইলেকট্রোলাইট নামের এক ধরনের উপাদান যার ভারসাম্যহীনতার কারনে কিডনীর সমস্যা হয়ে থাকে। আর এই উপাদান কমে গেলে মাংস পেশিতে টান বা খিঁচুনীর সমস্যা দেখা দেয়।
ত্বকে র্যাশ বা চুলকানীঃ
রক্তে মিনারেল এবং পুষ্টি উপাদানর ভারসাম্যহীন হয়ে পড়লে ত্বকে র্যাশ বা চুলকানি দেখা দিতে পারে। মূলত কিডনী সঠিক ভাবে কাজ না করলেএই সমস্যা দেখা দেয়।