তরকারি তে অতিরিক্ত – সারাদিনের খাওয়া দাওয়ায় নুনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে কাউকেই বিশেষ কিছু বলার দরকার নেই। ডাল থেকে শুরু করে মাংস, কারি যে কোন রান্নাতেই অত্যাবশক একটি উপাদান। রান্নার সাথে লবণের সম্পর্ক অনেকটা জীবনের সাথে অক্সিজেনের মত। কিন্তু প্রতিটি কয়েনেরই দুটো পিঠ থাকে। তেমনি অতিরিক্ত লবণ খাওয়ারও কিছু অপকারিতা আছে। সুতরাং একটু সাবধান হোন এই বিষয়ে। আসুন দেখে নিই কী কী অপকারিতা আছে অধিক লবণের :-
অতিরিক্ত লবণ রক্তচাপ বাড়ানো, হাড়কে দুর্বল করে দেওয়া ইত্যাদি বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করে।লবণের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল জল ধরে রাখা। ফলে শরীরে লবণের পরিমাণ বেশি হলে অতিরিক্ত জল শরীরে জমে যায়। বেরোতে পারে না। অধিকাংশ বিজ্ঞানীর মতে, এই অতিরিক্ত জল ধরে রাখার মাধ্যমে লবণ উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে, যা ক্ষতিকর। অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগ ও ব্রেইন স্ট্রোকের অন্যতম কারণ।
একজন সুস্থ প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের কিডনী মূত্র তৈরির মাধ্যমে অনবরত বাড়তি লবণ শরীর থেকে বের করে দেয়। কিন্তু শিশুরা বিশেষত চার মাস পর্যন্ত প্রয়োজনের তুলনায় বেশী লবণ গ্রহণে করলে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে থাকে। কেননা, শিশুদের কিডনী কর্মক্ষম হয়ে ওঠে না তখনও পর্যন্ত। তাই সর্তকতা প্রয়োজন, শিশুদের খাবারে কোনভাবেই যাতে লবণ বেশি না হয়। এই বাড়তি লবণ শরীরে জমে শিশুর কিডনী, লিভার এবং মস্কিষ্কের ক্ষতি হতে পারে।
হাড়ের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান ক্যালসিয়াম। কিন্তু অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ করলে মূত্রের মাধ্যমে ক্যালসিয়াম শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। ফলে হাড়ের ক্যালসিয়াম ক্ষয় হয়ে অস্টিওপোরোসিস রোগ দেখা দেয়।
সম্প্রতি গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত লবণ মস্তিষ্কের নিউরনকে প্রভাবিত করে। ফলে জ্ঞানসম্পর্কীয় ফাংশনগুলোতে প্রভাব পড়ে। অতিরিক্ত লবণ উচ্চ রক্তচাপ বাড়িয়ে হার্টের ঝুঁকি বাড়ায়। পাকস্থলির ঘা এবং কোলন ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগের সৃষ্টি করে বাড়তি লবণ।