১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
যাদের ভাইরাল ইনফেকশনে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা আছে তাদের জন্য হলদি-দুধ বিস্ময়করভাবে উপকারী হতে পারে। সাধারণভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর সেরা ঘরোয়া দাওয়াই হলদি-দুধ। ন্যাচারাল লিভিং আইডিয়াস ডটকম এর মতে প্রতিদিন সকালে বা রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস হলদি-দুধ পান করলে সর্দি ও ফ্লু দূরে থাকে।
২. হাঁচি-কাশি হওয়ার আশঙ্কা কমে
হলুদে উপস্থিত অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টিজ একদিকে যেমন নানাবিধ সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমায়, তেমনি এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপার্টিজ রেসপিরেটারি ট্রাক্ট ইনফেকশন এবং সর্দি-কাশির প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই কারণেই তো বছরের এই একটা সময় বাচ্চাদের নিয়মিত হলুদ মেশানো দুধ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে, বিশেষত রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে।
৩. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত হলুদ মেশানে দুধ খাওয়া শুরু করলে হজমে সহায়ক পাচক রসের ক্ষরণ বেড়ে যায়।
ফলে বদ-হজমের আশঙ্কা যেমন কমে। সেই সঙ্গে গ্যাস-অম্বল এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মতো সমস্যা কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ইনফেকশন কমাতেও এই পানীয় বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৪. লিভার টনিক হিসেবে কাজ করে
লিভারকে চাঙ্গা এবং কর্মক্ষম রাখতে হালদি-দুধের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। কারণ হলুদের মধ্যে থাকা কার্কিউমিন নামক উপাদানটি লিভারের কর্মক্ষমতা এতটা বাড়িয়ে দেয় যে কোনও ধরনের লিভারের রোগই ধারে কাছে আসতে পারে না। এমনকি ফ্যাটি লিভারের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে। শুধু তাই নয়, হলুদে উপস্থিত বেশ কিছু উপকারি উপাদান লিভারে জমে থাকা বর্জ্য পদার্থ বের করে দিতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। ফলে লিভারের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।
৫. রক্তকে বিষ মুক্ত করে
শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে হলুদ বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে এই প্রাকৃতিক উপাদানটির মধ্যে থাকা কার্কিউমিন, রক্তে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে ব্লাড ভেসেলের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা তো কমেই, সেই সঙ্গে নানাবিধ রোগভোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও হ্রাস পায়।
৬. ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়
নিয়মিত হলুদ মেশানো দুধ খেলে ত্বকের ভেতরে থাকা টক্সিক উপাদান বেরিয়ে যায়। সেই সঙ্গে কোলাজেনের উৎপাদন বেড়ে যায়। ফলে ত্বক এত মাত্রায় উজ্জ্বল এবং প্রাণোচ্ছ্বল হয়ে ওঠে যে বলিরেখা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ব্রণ, অ্যাকনে এবং কালো ছোপের মতো সমস্যাও কমতে শুরু করে। এক কথায় শীতকালেও যদি ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে চান, তাহলে আজ থেকেই হলুদ দুধ খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। প্রসঙ্গত, বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে অ্যাকজিমার মতো ত্বকের রোগের চিকিৎসাতেও হলদি দুধ বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৭. নিমেষে মাথা যন্ত্রণা কমায়
এবার থেকে সাইনুসাইটিস জনিত মাথার যন্ত্রণা হলেই এক কাপ হলুদ মেশানো দুধ খেয়ে নেবেন। দেখবেন কষ্ট কমতে একেবারে সময়ই লাগবে না। কারণ হলুদের ভেতরে থাকা কার্কিউমিন এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরের ভেতরে প্রদাহ কমায়। ফলে মাথা যন্ত্রণা কমতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, শুধু মাথা যন্ত্রণা নয়, যে কোনও ধরনের ব্যথা কমাতেই এই পানীয়টি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর যেমনটা আপনাদের সবারই জানা আছে যে শীতকালে চোট-আঘাত লাগার আশঙ্কা বাড়ে। তাই এই সময় হলুদ-দুধের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা মাস্ট!
৮. জয়েন্ট এবং পেশির ব্যাথাও ভালো করে
ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় হালকা জয়েন্ট পেইন এবং মাংসপেশিতে ব্যথা একটি সচরাচর ঘটনা। হলুদে থাকা প্রদাহরোধী উপাদান এই ব্যথা ভালো করতে পারে।