বন্ধুকে সাত টুকরো করার কারণ জানালেন পিন্টু

নারায়ণগঞ্জ শহরের কালীরবাজার এলাকার স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর চন্দ্র ঘোষকে সাত টুকরো করে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন নিহতের বন্ধু পিন্টু দেবনাথ।

গতকাল শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের বিচারিক হাকিম মেহেদী হাসানের আদালতে পিন্টুর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

পিন্টু আদালতকে জানিয়েছেন, অর্থ, বন্ধকী স্বর্ণালংকার ও দোকান আত্মসাতের পরিকল্পনায় এবং ব্যক্তিগত নানা ক্ষোভের কারণে তিনি নিজেই তাঁর বন্ধু প্রবীরকে হত্যা করেছেন। এ সময় বিচারকের কাছে খুনের পরিকল্পনা থেকে শুরু করে খুন পরবর্তী লাশ সাত টুকরো করা এবং তা গুম করে ফেলার বিস্তারিত বর্ণনা তুলে ধরেন পিন্টু।

মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম আদালতে পিন্টু দেবনাথের স্বীকারোক্তি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পিন্টুর একক পরিকল্পনায় এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয় বলে তিনি জবানবন্দিতে স্বীকার করেছেন।

জানা যায়, গত ১৮ জুন রাত সাড়ে ৯টায় নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ২১ দিন পর ৯ জুলাই রাত ১১টায় শহরের আমলপাড়া এলাকার রাশেদুল ইসলাম ঠান্ডু মিয়ার চারতলা ভবনের নিচে সেপটিক ট্যাংক থেকে প্রবীরের খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে জেলা ডিবি পুলিশ। পিন্টু দেবনাথ ওই বাড়ির দুইতলার একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন বলে জানা যায়।

এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পিন্টু দেবনাথ ও বাপেন ভৌমিক নামের এক স্বর্ণ কারিগরকে গ্রেপ্তার করে। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁদের পাঁচদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। রিমান্ড শেষে পিন্টুকে শনিবার বিকেলে আদালতে হাজির করা হলে তিনি খুনের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

নিহত প্রবীর ঘোষ কালীরবাজার স্বর্ণপট্টির ভোলানাথ জুয়েলার্সের মালিক ভোলানাথ ঘোষের ছেলে।