ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে এক নারীকে (৩০) গণধর্ষণের পর মন্দিরের যজ্ঞশালায় জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গত শনিবার রাতে রাজ্যের সম্বল জেলার গুরাউর অঞ্চলে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ঘটনার দিন দুই সন্তানকে নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন ওই নারী। রাত আড়াইটার দিকে একই গ্রামের আরম সিং, মহাবীর চরণ সিং, গুল্লু, কুমারপাল ও ভোনা নামের পাঁচ যুবক দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের পর চলে গেলেও কিছুক্ষণ পর তাঁরা ফিরে এসে তাঁকে ঘর থেকে টেনে বাড়ির পাশের একটি মন্দিরে নিয়ে যান ও মন্দিরের যজ্ঞশালায় জীবন্ত পুড়িয়ে মারেন।
শ্রমিকের কাজ করার সূত্রে ঘটনার দিন গাজিয়াবাদে অবস্থান করা ওই নারীর স্বামী জানান, দুর্ঘটনার পর তাঁর স্ত্রী মোবাইলে তাঁকেসহ একাধিক আত্মীয়কে ফোন করে পুরো ঘটনা জানান। সে রাতে সহযোগিতার আশায় পুলিশের নম্বরেও একাধিকবার ডায়াল করেন তিনি। কিন্তু পুলিশ ফোন ধরেনি। পরে ভোরে ধর্ষিতার বোন পুলিশকে ফোন করেন। ততক্ষণে ওই নারীকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে।
গুরাউরের সার্কেল পুলিশ পরিদর্শক আকিল আহমেদ জানান, নিহত নারীর স্বামী ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ডি (গণধর্ষণ), ৩০২ (খুন), ২০১ (অপরাধের প্রমাণ লোপাট), ১৪৭ (প্ররোচনা দেওয়া) ও ১৪৮ (মারণাস্ত্র সঙ্গে নিয়ে প্ররোচিত করা) ধারায় আরম সিং, মহাবীর চরণ সিং, গুল্লু, কুমারপাল ও ভোনার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশ জানায়, পাঁচ যুবক গত কয়েকমাস ধরেই ওই নারীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন।
এদিকে, ঘটনার পর থেকেই যুবক পলাতক আছেন বলে জানা গেছে। তাঁদের ধরতে দুটো টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে, তল্লাশি অভিযানে নেমেছে পুলিশ।