পানি লাগলেই শরীরে র্যাশ ওঠে এমন ঘটনা বিরল। তেমনি এক নারীর সন্ধান মিলেছে যুক্তরাজ্যে। তাহলে তিনি গোসল করেন কীভাবে? বৃষ্টির পানি লাগলেই বা কী হয়?
অ্যালার্জিতে ভোগা খুবই সাধারণ একটি ঘটনা এবং বহু মানুষই নানা কিছু থেকে অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হন।
ধুলা, ধোঁয়া থেকে অ্যালার্জিতে ভোগার ঘটনা হরহামেশাই দেখা যায়।
কিন্তু পানিতে নামলেই বা গায়ে পানি পড়লেই অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হওয়া কিংবা র্যাশ ওঠার মতো ঘটনা কি চোখে পড়ে?
যুক্তরাজ্যের কার্ডিফের ২৫ বছর বয়সী সেরেলি ফারুগিয়া ভুগছেন অদ্ভুত এই সমস্যায়।
পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানা গেছে অ্যাকুয়াজেনিক আর্টিকারিয়া নামক বিরল সমস্যায় ভুগছেন তিনি।
বিশেষ করে প্রতিবার পানির সংস্পর্শে আসলেই কষ্টদায়ক র্যাশ ওঠা শুরু হয় এই এক সন্তানের জননীর শরীর জুড়ে।
আর এই সমস্যাটি শুরু হয় তার বাচ্চার জন্মের ছয় সপ্তাহ পর থেকে।
আর এজন্য অনেক প্রশ্নের মুখোমুখিও হতে হয়। তেমনি কয়েকটি দরকারি প্রশ্নের মধ্যে রয়েছে:
পানি থেকে অ্যালার্জি? কিন্তু শরীরে কি পানির পরিমাণই বেশী নয়?
জবাবে সেরেলি বলছেন, ‘এটি শরীরের চামড়ার একটি সমস্যা। যদিও আমরা পানি দ্বারাই তৈরি কিন্তু তার সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। এটা শুধু আমার স্কিনের প্রতিক্রিয়া।’
আপনি তাহলে কী পান করেন?
জবাবে হাসতে হাসতে সেরেলি বলেন: পানি, প্রচুর পানি বা জুস।
‘কারণ আমার শরীরের ভেতরে এটা নিয়ে সমস্যা হচ্ছেনা। তাই পানি পান করতেও আমার কোন সমস্যা নেই।’
গোসল করেন কীভাবে?
সেরেলি বলেন, ‘গোসলের জন্য আমি সর্বোচ্চ ২-৩ মিনিট সময় নেই। এর সময় থাকলেই প্রতিক্রিয়া খুব খারাপ হয়। তাই আমি আগেই নিশ্চিত হই যে সব ঠিকমতো গুছানো আছে- সাবান, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার। যাতে এগুলো খুঁজতে গিয়ে ঝামেলায় না পড়তে হয়।’
তাহলে বৃষ্টির সময় কি করেন?
তার জবাব, ‘মৌসুমি বৃষ্টিপাতের সময় আমি চেষ্টা করি বাইরে না বের হতে। আমি আবহাওয়ার অবস্থার খবর রাখি। যদি বাইরে যেতেই হয় তাহলে খোঁজ নেই।’
তিনি বলেন, ‘যদিও ওয়েলসে প্রচুর বৃষ্টি হয় তাই এটা নিয়ে আসলে আমার কিছু করার নেই।’
নিজের শরীরে টাট্টু আঁকিয়েছেন তিনি।
আর তাতে দেখা যায় একটি ছাতা আর এক ফোটা পানি।
আসলে এর মাধ্যমে নিজের অবস্থাটাই বোঝাতে চেয়েছে সেরেলি।
এ সমস্যার সমাধান আছে?
‘আমাকে শক্তিশালী অ্যান্টি হিস্টামিন নিতে হয় যদিও তারা আমার জন্য খুব বেশি কিছু করে না।’
কিন্তু কেউ চাইলে ইউভি থেরাপি নিতে পারে শরীরের চামড়ার সেলগুলোকে শক্তিশালী করতে। যদিও এর কিছুটা ঝুঁকিও আছে।
তবে একজন চিকিৎসক বলেছেন আমি আরেকটা বাচ্চা নিলে এ পরিস্থিতি পাল্টাতে পারে। তাই আমিও আমার সঙ্গীকে আরেকটা বাচ্চা নিতে রাজী করাতে চেষ্টা করছি।