মাদারীপুর জেলার কালকিনি পৌরসভার মেয়র এনায়েত হোসেন হাওলাদারকে (৩৫) কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (১৪ জুলাই) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পৌরমেয়র এনায়েত হোসেনের দাবী, শনিবার গভীর রাতে পৌর মেয়রের নিজ বাসভবনে ঢুকে দুর্বৃত্তরা হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করেছে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
কালকিনি পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক বিএম হানিফ জানান, শনিবার রাতে মেয়র এনায়েত হোসেন ঘুমিয়ে থাকলে একটি মাইক্রোবাস ও ২টি মোটরসাইকেলযোগে ১০ থেকে ১২ জন মুখোশপড়া দুর্বৃত্ত বাড়ির পেছনের গেইট ভেঙে প্রবেশ করে। এসময় তারা মেয়রের ঘুমানো কক্ষের জানালা ভেঙে ঘুমন্ত মেয়রকে রাম-দা দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এতে মেয়র তাৎক্ষনিক তার বিছানায় থাকা সর্ট গান দিয়ে গুলি করে। পরে দুর্বৃত্তরা কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের অন্য সদস্যরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে কালকিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তার মাথায় ও হাতে অস্ত্রের আঘাতে সামন্য জখম হয়েছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন কালকিনি উপজেলা চেয়ারম্যান তৌফিকুজ্জামান শাহীন, মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন কুমার দেব, কালকিনি থানার অফিসার ইনচার্জ কৃপা সিন্দু বালা, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মীর মামুনুর রশীদ, সরদার লোকমান হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট ওবাইদুর রহমান সোহেল তালুকদারসহ হাজার হাজার গ্রামবাসী।
আহত মেয়র এনায়েত হোসেন হাওলাদার জানান, ‘পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে আমার কাছে সর্টগান থাকায় দুর্বৃত্তরা মারাত্মক কিছু করতে পারেনি। তবে এই ঘটনার সাথে আমার প্রতিপক্ষরা জড়িত বলে সন্দেহ করছি। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃপা সিন্ধু বালা জানান, ঘটনার পর তাৎক্ষণিক আমরা মেয়রের বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় পুলিশ মোতায়ন করেছি। মেয়রের পরিবার থেকে মামলা দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া কালকিনি উপজেলায়ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।