জরায়ু ক্যান্সারের- জরায়ু ক্যান্সারকে ‘ সাইলেন্ট কিলার বলা হয়ে থাকে। কারণ এই অসুখ দেখা দিলে অনেক নারীরাই এর কিছু কিছু লক্ষণ বুঝতে পারেন না। কিংবা ভিন্ন লক্ষণ দেখা দিলেও গুরুত্ব দেন না। তাই সুস্থ থাকতে এই অসুখের পূর্ববর্তী কিছু লক্ষণ সম্পর্কে জেনে রাখুন।
জরায়ু ক্যান্সারের পূর্ববর্তী কিছু লক্ষণঃ
১. নিন্মাঙ্গের চারপাশে চাপ লাগা কিংবা ঘন ঘন মূত্রত্যাগ করা।
২. গ্যাস , বদহজম , কোষ্ঠকাঠিন্য। হালকা-খাবারের পর পেট ভর্তি লাগা , পেটে অস্বস্তি লাগা , ইত্যাদি পেটের কোন সমস্যা খুব বেশি হলে তা জরায়ু ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।
৩. অন্য সময়ের থেকে পেটে অনেক পরিবর্তন দেখা দেওয়া।
৪. পেটে অতিরিক্ত ব্যথা কিংবা পেট ফুলে থাকা।
৫. বমি বমি ভাব কিংবা বার বার বমি হওয়া।
৬. ক্ষুধা কমে যাওয়া।
৭. অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পাওয়া কিংবা ওজন অনেক বেশি কমে যাওয়া।
৮. যৌনমিলনের সময় ব্যথা পাওয়া।
৯. অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ করা।
১০. নারীদের মেনোপজ হওয়ার পরেও ব্লিডিং হওয়া।
জরায়ু মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে টিকা: আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) নিয়মানুযায়ী ৯-২৫ বছর বয়সে এ টিকা দিলে সবচেয়ে বেশি ফলপ্রসূ হয়।
যে কোনো এক ধরনের টিকা (সারভারিক্স অথবা গার্ডাসিল) মেয়েদের বিয়ের আগে বা যৌন জীবন শুরু হওয়ার আগেই দেয়া উচিত। তাই ১২-১৩ বছরের বালিকাদের এইচপিভি আক্রান্ত হওয়ার আগেই টিকা দেয়া ভালো। সারভারিক্স (Cervarix) হল এইচপিভি ১৬ ও ১৮-এর প্রতিরোধক টিকা, গার্ডাসিল (Gardasil) হল এইচপিভি ৬, ১১, ১৮, ১৬ প্রতিরোধক টিকা।
কীভাবে কাজ করে : এ টিকা দিলে শরীরে এইচপিভির বিরুদ্ধে এন্টিবডি (রোগ প্রতিরোধক পদার্থ) তৈরি হয়। ফলে জরায়ুতে ঝুঁকিপূর্ণ ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এন্টিবডি ভাইরাস ধ্বংস করে দেয়।
টিকা নেয়ার নিয়ম : তিনটি ডোজ নিতে হয়। সারভারিক্স (Cervarix) টিকা ১ম ডোজের ১ মাস পর ২য় এবং ৬ মাস পর ৩য় ডোজ নিতে হয়। গার্ডাসিল (ধেৎফধংরষ) টিকা ১ম ডোজের ২ মাস পর ২য় এবং ৬ মাস পর ৩য় ডোজ নিতে হয়।