ঝালকাঠি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সরদার মো: শাহ আলম এর কাছে স্ত্রীর মর্যাদা চাইতে গিয়ে সরদার মো: শাহ আলম ও তাঁর স্ত্রীর হাতে নির্যাতিত হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফারজানা ববি নাদিরা (২৫)। নাদিরাকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (১১ জুলাই) ঝালকাঠি জেলা পরিষদে নাদিরার ওপর এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও স্টেশন রোডের ফারুক হোসেন খানের মেয়ে ফারজানা ববি নাদিরা ঝালকাঠি জেলা পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করার সুবাধে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো: শাহ আলমের (৭২) সাথে নাদিরার বিশেষ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
নাদিরার অভিযোগ সরদার মো: শাহ আলম গত তিন বছর যাবৎ তাকে স্ত্রীর মত ব্যবহার করলেও তিনি তাকে আইনগতভাবে স্ত্রীর মর্যাদা দিচ্ছিলেন না। গত কয়েকদিন যাবৎ নাদিরা সরদার মো: শাহ আলমকে তাকে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দেয়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছিল।
বুধবার (১১ জুলাই) নাদিরা জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান সরদার শাহ আলমের কক্ষে অবস্থান নিয়ে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন। একপর্যায় খবর পেয়ে বিকাল তিনটার দিকে জেলা পরিষদে হাজির হন সরদার শাহ আলমের স্ত্রী জেলা মহিলা পরিষদের সভানেত্রী শাহানা আলম। তিনি সরদার শাহ আলমের কক্ষে ঢুকেই নাদিরাকে দেখে তার ওপর চড়াও হয়ে চড় থাপ্পর মারেন। এক পর্যায় তাকে মারতে মারতে রুম থেকে বের করা হয়। এ সময় বেশ কিছু লোকজন ও সাংবাদিকরা উপস্থিত হন।
সরদার শাহ আলম ও শাহানা আলম গাড়িতে উঠে জেলা পরিষদ ত্যাগ করতে চাইলে নাদিরাও জোরপূর্বক তাদের গাড়িতে উঠতে চান। তখন নাদিরাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। পরে নাদিরা জেলা পরিষদের দ্বিতীয় তলার ছাদে উঠে সেখান থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
স্থানীয় কিছু যুবক ও কয়েকজন যুবলীগ নেতা নাদিরাকে ধরে ফেলেন এবং তাকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সদর হাসপাতালের কেবিনে চিকিৎসাধীন ফারজানা ববি নাদিরা বলেন আসলে আমরা মেয়েরা কারও কাছে নিরাপদ নয়। মনে করেছিলাম এই বয়স্ক লোকটার কাছে আমি নিরাপদ থাকবো। কিন্তু তিনিও আমাকে ভোগের সামগ্রী বানালেন। সরদার শাহ আলমের স্ত্রীর মর্যাদা পাওয়ার জন্য আমি প্রয়োজনে আইনের আশ্রয় নেব।
নাদিরা সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লাইব্রেরী সাইন্সে মাস্টার্স শেষ করে ঝালকাঠির আকলিমা মোয়াজ্জেম হোসেন ডিগ্রি কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে।
এ ব্যাপারে সরদার মো: শাহ আলমের বক্তব্য জানার জন্য তার নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও ওইপাশ থেকে কেউ ফোন রিসিভ করেনি।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শোনিত কুমার গাইন জনান, এ বিষয়ে থানায় কোন অভিযোগ হয়নি।– বিডি২৪লাইভ