স্কুলের ভেতরে ছাত্রীকে গণধর্ষণ, ধর্ষকের নাম শুনলে চমকে উঠবেন

স্কুলের ভেতরে ছাত্রীকে- স্কুলের ভেতরে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক স্কুলছাত্রী বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ১৮ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে। এই মামলার তালিকায় আছেন ভুক্তভোগীর সহপাঠী থেকে শুরু করে স্কুলের প্রিন্সিপাল, শিক্ষকরাও। গত ৮ মাস ধরে মেয়েটি নাকি এভাবেই নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে।

ঘটনার সূত্রপাত ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে। বিহারের সারন জেলার বাসিন্দা ওই ছাত্রীর অভিযোগ, স্কুলের ল্যাবরেটরিতে ক্লাস করছিল সে। সেই সময় ল্যাবরেটরি ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে তার তিন সহপাঠী ধর্ষণ করে তাকে। গোটা ঘটনার ভিডিও করে রাখে অভিযুক্তরা। বাইরে কাউকে বললে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। এর পর ভয়ে কাউকে কিছু বলতে পারেনি ওই কিশোরী। এমনটাই জানা গিয়েছে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী।

কিন্তু কয়েকদিন পরেই অভিযুক্ত ওই তিন ছাত্র ভিডিওটি স্কুলের কয়েকজনের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়। অভিযোগ, এর পরেই ওই ছাত্রীকে তার সহপাঠীরা ভিডিওটি দেখিয়ে ভয় দেখাতে শুরু করে। ব্ল্যাকমেল করে গণধর্ষণও করে তাকে। কিন্তু এতেই সব থেমে যায়নি। অভিযোগ, ধর্ষণের ভিডিও দিয়ে ওই ছাত্রীকে ক্রমাগত ব্ল্যাকমেল করতে থাকে ওই স্কুলেরই আরও দুই শিক্ষক। তারাও ভয় দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে।

কয়েকদিন আগে নিগৃহীতা ওই ছাত্রী স্কুলের প্রিন্সিপালের কাছে অভিযোগ জানাতে যায়। কিন্তু ওই ছাত্রীকে মুখ বন্ধ রাখতে বলেন স্কুলের প্রিন্সিপাল। অভিযোগ, দিন কয়েক আগে নিজের চেম্বারে নিগৃহীতা ওই ছাত্রীকে ডাকেন স্কুলের প্রিন্সিপাল। সেখানেও ভয় দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন স্কুলেরই প্রিন্সিপাল।

এর পরেই স্থানীয় একটি মহিলা থানায় অভিযোগ করে নির্যাতিতা ওই ছাত্রী। তার পরেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। সহপাঠী, শিক্ষক, প্রিন্সিপাল—সহ মোট ১৮ জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়।

ইতোমধ্যে স্কুলের প্রধান শিক্ষক, প্রিন্সিপাল-সহ আরও দুই ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিগৃহীতা ছাত্রীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে।