এক সঙ্গে দুই স্বামীর সংসার করতে গিয়ে অবশেষে ধরা খেয়েছেন গৃহবধূ ফারজানা আক্তার তিথি। এ ঘটনা নিয়ে লক্ষ্মীপুর শহরের সমসেরাবাদ এলাকায় রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সুন্দরী গৃহবধূ ফারজানা আক্তার তিথি লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সমসেরাবাদ ৭ নম্বর ওয়ার্ড সরকারী কলেজ হোষ্টেল সংলগ্ন হাবিবুর রহমান পাটোওয়ারী বাড়ীর মৃত সেনা সদস্য তোফায়েল আহাম্মেদ ও ভবাণীগঞ্জ হেলথ কর্মচারী শ্যামলী আক্তার ইয়াসমীনের মেয়ে।
জানা যায়য়, ফারজানা আক্তার তিথি এর সাথে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ৩ নম্বর দালাল ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ড খন্দকারপুর গ্রামের আব্দুল হাই ছেলে, আব্দুর রহিমের সঙ্গে বিয়ে হয়। তার সাথে ঘর-সংসার করা অবস্থায় তিথি ২০১২ সালে গোপনে মোবাইলে প্রেম করে নারায়ণগঞ্জ দেওভোগ মাদ্রাসা বেপারী বাড়ীর মালয়েশিয়া প্রবাসী সহিদুল ইসলাম আপন এর সাথে। ওই সময় থেকে তিথি আপনের কাছ থেকে লেখাপড়াসহ বিভিন্ন খরচ দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
গত বছর নভেম্বরে আপন দেশে আসলে তিথি গোপনে ঢাকা রামপুরা কাজী অফিসে এক লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দেন মোহরে আপনকে বিয়ে করেন। এরপর থেকে গোপনে নারায়ণগঞ্জ, কক্সবাজার, লক্ষ্মীপুর গোডাউন রোড ফিরোজ হোটেলসহ বিভিন্ন জায়গায় তারা একত্রে থেকেছেন। পরে আপন বিদেশে চলে গেলে রহিমের সংসারে চলে আসেন তিথি। এমন কৌশলে দুই স্বামীর সংসার চালিয়ে আসছিলেন তিথি। বর্তমানের আব্দুর রহিম ও আপন দুইজনে প্রবাসে আছেন।
এ বিষয়ে দ্বিতীয় স্বামী সহিদুল ইসলাম আপন জানান, ফারজানা আক্তার তিথি স্বামী আব্দুর রহিমের সংসারে থেকে, নিজেকে অবিবাহিতা দাবি করেছিল। এক পর্যায়ে আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ে সাত বছর থেকে এটি চলে আসছে। এতে সহযোগিতা করেছেন তার মা শ্যামলী ওও চাচাত বোন নাছিমা। আপন আরো জানান, এই সাত বছরে তিথি ও তার পরিবার আমার কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে মোট সাড়ে ছয় লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, তিথি বিভিন্ন নামে এলাকায় ও এলাকার বাহির পরিচিত। বাবার মৃত্যে পর তার মা শ্যামলীসহ এই মেয়ে অনেক যুবককে প্রেমের ফাঁদে ফেলে টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেন।
বিষয়টি প্রকাশ পেললে প্রথম স্বামী আব্দুর রহিমের সাথে দ্বিতীয় স্বামী আপন এই বিষয়ে যোগায়োগ করেন। এরপর আব্দুর রহিম বলেন, এত গুলো বছর আমার সাথে সংসার করে, তোমার সাথে এত কিছু করলো! আমি তার কিছুই জানতাম না। আমি দেশে এসে তাকে তালাক দিয়ে নতুন করে বিয়ে করবো।
তবে ফারজানা আক্তার তিথির মা শ্যামলী আক্তার ইয়াসমীন বলেন, আমি মেয়ে জামাই আপনকে চিনি না। বিয়ের কাবিন, বিকাশে টাকা নেওয়ার বিষয়টিও এড়িয়ে যান তিনি।