দুপুরে স্বামী ওহাব খান বাইরে থেকে বাড়িতে এসে তার স্ত্রী ইতি বেগমকে নির্দিষ্ট কক্ষে না পেয়ে অন্য কক্ষগুলো খুঁজতে গিয়ে আপত্তিকর অবস্থায় তার সঙ্গে আলমগীর হোসেনকে দেখতে পায়। ঘটনা ফাঁস হওয়ার শঙ্কায় স্ত্রী ও প্রেমিক আলমগীর স্বামী ওহাবকে খাটের উপর ফেলে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।
এ সময় ওহাবের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে এবং স্ত্রী ইতি বেগম ও প্রেমিক আলমগীরকে গণধোলাই দিয়ে আটকে রাখে। পরে আলমগীরকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। শনিবার (৮ জুন) দুপুরে ফরিদপুরের চরভদ্রাসনের, উপজেলা সদর ইউনিয়নের দবিরউদ্দিন প্রামাণিকের ডাঙ্গী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্ত্রীর পরকীয়া দেখে ফেলায় স্ত্রী ও তার প্রেমিক স্বামীকে হত্যার চেষ্টা চালায় ।
জানা যায়, চরভদ্রাসন উপজেলা সদর ইউনিয়নের দবিরউদ্দিন প্রামাণিকের ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী ওহাব খানের (৩৫) স্ত্রী ইতি বেগমের (২৬) সঙ্গে ফরিদপুর সদর উপজেলার ভাজনডাঙ্গা গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে দুই সন্তানের জনক আলমগীর হোসেনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি সৌদি থেকে ওহাব খান বাড়িতে এসে মৌলভীরচর বাজারে জুতা স্যান্ডেলের ব্যবসা শুরু করেন।
আহত ব্যবসায়ীর ভাই আমান উল্লাহ জানান, স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে আমার ভাই দীর্ঘদিন যাবৎ সৌদি আরবে চাকরি করেছেন। এর ফাঁকে তার স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, আহত ওহাব খানের শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল এখন সে ভালো আছে।
চরভদ্রাসন থানা পুলিশের এসআই শাহীনুজ্জামান জানান, স্ত্রী ইতি বেগম ও প্রেমিক আলমগীরকে থানায় আনা হয়েছে। স্বামী ওহাব খানের থানায় আসার কথা রয়েছে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।