ঠাকুরগাঁওয়ে স্ত্রীর উপর রাগ করে কোরআন পুড়ালেন স্বামী, অতঃপর!

মুসলিম ধর্মের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং আসমানি কিতাব হচ্ছে কোরআন শরীফ। এই কোরআন শরীফ স্বয়ং আল্লাহরই বানী। কিন্তু এই কোরআনের যদি কেও অবমাননা করে তবে কোন মুসলমান তা সহ্য করতে পারে না। আর যদি কোন মুসলিমই এই পবিত্র শরীফের অবমাননা করে তাহলে তো বলার ভাসাই হারিয়ে যায়। ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় স্ত্রীর উপর রাগ করে পবিত্র কোরআন শরীফ আগুনে পুড়িয়ে মাটিতে পুতে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি গত বুধবার সন্ধায় গোগর ঝাড়বাড়ি গ্রামের আতর আলীর ছেলে ইসমাইল হোসেন(৫৫) ঘটান বলে এলাকাবসী জানান।

এর প্রতিবাদে এবং দোষীর ফাসির দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধায় এলাকাবসী ও ইমাম ওলামা পরিষদ অভিযুক্ত’র বাড়ী ঘেরাও করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে । অভিযুক্ত ইসমাইল হোসেন বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। এলাকাবাসীর বরাতে জানা যায়, গোগর ঝাড়বাড়ি গ্রামে আতর আলীর পুত্র ইসমাইল হোসেন (৫৫) গত বুধবার স্ত্রী আকলেমা খাতুনের সাথে পারিবারিক ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে স্ত্রী ঝগড়া করা বাদ দিয়ে কোরআন পড়তে বসলে। ইসমাইল হোসেন স্ত্রীর কোরআন শরীফ পড়া দেখে কঠিন রগান্বিত হয়ে পবিত্র কোরআন শরিফ পা দিয়ে লাথি মেরে হাতে ছিড়ে তছনছ করে দেন।

এতেও তিনি ক্ষান্ত হননি পরে ছিড়া কোরআন শরিফ আগুনে পুড়িয়ে মাটিতে চাপা দেয়। এঘটনাটি পরের দিন ফাঁস হয়ে গেলে স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলিম লোকজন ও ঠাকুরগাঁও ইমাম ওলামা পরিষদের উদ্যোগে ইসমাইলের ফাসির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করে বাড়ি ঘেরাও করে রাখা হয়। এমন ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে থানা পুলিশ উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে আইনুযায়ী বিচারের আশ্বাস দেন ও পুড়িয়ে দেওয়া কোরআন শরীফ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

এঘটনায় গোগর দারুস সুন্নাহ কাওমী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দলু মালেক বাদি হয়ে ২৯৫ ধারায় ইসমাইলের বিরুদ্বে থানায় মামলা করেন যাহার মামলা নং ০৯। এ ব্যাপারে ইমাম ও জেলা ওলামা পরিষদের সম্পাদক নুরুজাম্মান বলেন আসামীকে দ্রুত গ্রেফতার করে ফাঁসি দেওয়া না হলে কঠোর আন্দোলন হাতে নেওয়া হবে। অফিসার ইনর্চাজ আব্দুল মান্নান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,অভিযুক্ত’র বিরুদ্বে মামলা হয়েছে সে পলাতক রয়েছে তাকে দ্রুত গ্রেফতার করার জন্য আমরা যতসাধ্য চেষ্টা করছি।